বাসায় ফিরে কেমন আছেন খালেদা জিয়া
করোনা পরিস্থিতিতে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন সদ্য কারামুক্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। দলের চিকিৎসক টিম ছাড়াও লন্ডন থেকে তার শারীরিক অবস্থার সার্বিক তদারকি করছেন পূত্রবধূ ডা: জোবায়দা রহমান।
পরিবারের সদস্য ও দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে পেয়ে তিনি মানসিকভাবে অনেকটাই শক্তিশালী বোধ করছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।
দীর্ঘ ২ বছরের বেশি সময় পর বন্দী জীবন থেকে পরিচিত আঙ্গিনায় ফিরেছেন বেগম খালেদা জিয়া। তবে তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। তার হাতের আঙুল বেঁকে গেছে, এটা মুক্তি পাওয়ার পর ছবি দেখে সবাই বুঝেছেন। শারীরিক আরো সমস্যার এখন সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করাই পরিবার ও দলের মূল লক্ষ্য।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন তিনি। তাকে এখন বাসাতেই চিকিৎসা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বোন সেলিমা ইসলাম। তিনি বলেন, ‘তার তো শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, কথা বলতে পারছেন না, উঠে দাঁড়াতে পারছেন না। হাঁটতে পারছেন না, বেশিক্ষণ বসে থাকতেও পারছেন না, গায়ে হাত দিলেই ব্যথা লাগছে তার। খাওয়া-দাওয়াও করতে পারছেন না, খেলেই বমি হয়ে যাচ্ছে। মুভ করানোর মতো অবস্থা নেই। তারও মতামত বাসাতেই থাকবেন।
জানা গেছে, বেগম জিয়ার চিকিৎসার সার্বিক বিষয়ে তত্ত্বাবধান করছেন পুত্রবধূ ডা: জোবায়দা রহমান। চিকিৎসা করছে দলের গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড। বুধবার প্রায় দুই ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ শেষে আগের চিকিৎসা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরার্মশ দেয় ৬ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড।
পরিবার ও দলীয় নেতাকর্মীদের দেখার পর মানসিকভাবে অনেকটাই চাঙা হয়ে উঠেছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, কোয়ারেন্টিনে যেসব প্যারামিটার থাকে সেগুলো দেখার জন্য তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক আছেন, নার্স আছে। তারাই উনাকে দেখাশোনা করবেন। বিএসএমএমইউতে যে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল সেগুলোই কিছুটা মডিফাই করে ঠিক করা হয়েছে। বাকিটা একই আছে। মানসিকভাবে পরিবারের সদস্যদের কাছে পেয়ে হয়তো কিছুটা ভালো আছেন, শারীরিকভাবে কিন্তু তিনি খুবই খারাপ অবস্থায় আছেন। গতকাল জাহিদ হোসেনের সাথে ডা: মামুনও বাসায় গিয়ে বেগম জিয়ার চিকিৎসার খোঁজ নেন।