আইইডিসিআর-এ ফোন করে সংযোগ না পাওয়ার অভিযোগ
আইইডিসিআর-এ ফোন করে সংযোগ না পাওয়ার অভিযোগ অনেক ভুক্তভোগীর। ঘন্টার পর ঘন্টা চেষ্টা করেও পরামর্শ পাওয়া দুষ্কর। পাওয়া গেলেও বিদেশফেরত কারো সংশ্লিষ্টতা না থাকলে পরীক্ষা করা হচ্ছে না। ফলে রোগীর প্রকৃত সংখ্যা পাওয়া যাচ্ছে না বলে মনে করেন অনেক চিকিৎসকরাও। তাদের মতে, সামাজিকভাবে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কায় আছেন অনেকেই।
এদিকে, বিশ্বজুড়ে করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে দেশে ফিরে আসেন অনেক প্রবাসী। আক্রান্ত দেশ থেকে আসা প্রবাসীদের মাধ্যমে আক্রান্ত হয়েছেন অনেকেই। এয়ারপোর্টে প্রবাসীদের ফিরে আসা, হজ্জ ক্যাম্পে তাদের নিয়ে যাওয়ার ঘটনা কাভার করেছেন অনেক গণমাধ্যমকর্মীও। বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমন একজন পরে অসুস্থ বোধ করলে যোগাযোগের চেষ্টা করেন আইইডিসিআরে। কিন্তু পরীক্ষা করতে পারেননি।
ভুক্তভোগী ওই গণমাধ্যমকর্মী বলেন, আমি আইইডিসিআর এর নাম্বারগুলোতে ফোন দিয়ে কোন রেসপন্স পাইনি। পরে তাদের ফেসবুক পেজে মেসেজ দিয়েও কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।
রাজধানীর একটি আবাসিক এলাকার বাসিন্দা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের পরপরই অসুস্থ বোধ করছেন। লক্ষণ কিছুটা করোনার সাথে মিলে যাওয়ায় পরীক্ষা করানোর চেষ্টা করেন; কিন্তু কাজ হয়নি।
ভুক্তভোগী এই ব্যাক্তি বলেন, বৃহস্পতিবার থেকেই অসুস্থ বোধ করলে পরীক্ষা করানোর চেষ্টা করলেও তা করা সম্বভ হয়নি।
টেলিফোনে সংযোগ না পেয়ে কেউ কেউ ছুটে আসছেন আইডিসিআর এ। তাতেও কাজ হচ্ছে না। সৌদি আরব থেকে আসা প্রবাসী চাচার সংস্পর্শে ছিলেন এই ব্যাক্তি। এরপর থেকে জ্বর ঠান্ডাসহ নানান উপসর্গ।
সামাজিক মাধ্যমে অভিযোগ আসছে প্রতিনিয়ত। চিকিৎসক, চাকুরিজীবী অনেকের অভিযোগ একদিকে পরীক্ষার সুযোগ নেই অন্যদিকে জ্বর থাকলে হাসপাতালেও চিকিৎসা পাওয়া যায় না।
বিশেষজ্ঞদের মত, শুরু থেকেই দূরদর্শিতা ও পরিকল্পনায় অবহেলা ছিলো স্বাস্থ্য বিভাগের। সময় ও পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রস্তুতি বেশ কম বলেও মন্তব্য এই চিকিৎসকের।
ডাব্লিউএইচও উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ বলেন, যেখানে ইতালি, যুক্তরাষ্ট্রও হিমশিম খাচ্ছে সেখানে আমাদের অবস্থা খুবই অপ্রতুল। এটা যদি আরো স্প্রেড হয় তাহলে পরিস্থিতি খুব খারাপ হবে। আমাদের প্রস্তুতি একেবারেই নগন্য।
উল্লেখ্য, গেলো প্রায় এক মাসে আইউডিসিআর করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে মাত্র ৬২০ জনের।