জনগণের ট্যাক্সের টাকা জনগণের জীবন বাঁচাতে ব্যবহার করুন!
চিকিৎসক-নার্স-কর্মীদের সুরক্ষা উপকরণ সরবরাহের নির্দেশ দিচ্ছে হাইকোর্ট।
দোকান-মার্কেট বন্ধের ঘোষনা দিচ্ছে দোকান মালিক সমিতি।
চিকিৎসক-নার্স-কর্মীদের সুরক্ষা উপকরণ দিচ্ছে বুয়েট।
টেস্টিং কিট দিচ্ছে চীনের ‘আলীবাবা’।
তাহলে সরকার করছেটা কি?
আনন্দ-ফূর্তির মহা কাউন্টডাউন্ট তো আগেই শেষ হলো! এখনও সময় আছে, চোখের মাস্ক খুলে ফেলুন! যখন মুখে মাস্ক পড়ার সময় ছিল, তখন তো আপনারা চোখে মাস্ক পড়ে ছিলেন! ফূর্তিবাজি, চাঁদাবাজি, চাপাবাজি, ধান্দাবাজি আর আতশবাজি করে জাতির মূল্যবান সময়গুলো নষ্ঠ করেছেন! অবহেলা আর দম্ভ-বাহাদুরি করে মূল্যবান সময় ক্ষেপণ করেছেন! এবার অন্তত নিজেদের বাঁচার প্রয়োজনে হলেও জনগণের ট্যাক্সের টাকা জনগণের জীবন বাঁচাতে ব্যবহার করুন!
আপনারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে। বিদেশে ব্যবসা-বানিজ্য, বাড়ি-ঘর বানিয়ে রেখেছেন। এই মহামারী কি আপনাদের এগুলো ভোগ করার সময় সুযোগ দিবে? মেরে পিটে, গুম-খুন, মামলা-হামলা, জুলুম দখল করে যে রাজত্ব আপনারা গড়েছেন। সামান্য চোখের ড্রপ দিতেও এতদিন আপনারা সিঙ্গাপুর-লন্ডন গিয়েছেন ‘উন্নত চিকিৎসার’ নামে! তাও গরীব জনগণের পয়সায়! আর আজ আপনারা যদি এই মহামারীতে আক্রান্ত হন। তাহলে শত-হাজার কোটি টাকা খরচ করলেও কোন দেশ কি করোনা আক্রান্ত আপনাকে চিকিৎসা দিতে তাদের দেশে ঢুকতে দিবে? আপনাদের মজলুমরা এতদিন কোথাও কোন বিচার পায়নি! কোটি মজলুম কেঁদেছে! বিচার পায়নি। আর আজকে আপনারা সকল রাজত্ব আর লুটের সম্পদ নিয়েও যদি ‘উন্নত চিকিৎসার’ নামে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করাতে না পারেন! তাহলে এটার নামই সেই ‘প্রাকৃতিক বিচার‘! তাই, এখনও হায়াত আছে। ফিরে আসুন। তওবা করুন। জনগণের কাছে ক্ষমা চান। নিজেদের পাপের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করার এখনই প্রকৃত সময়। এখন না বুঝলে, আর কখন? মানুষের হক, গরীব জনগণের হক ফিরিয়ে দিন। মহামারী ভালো মন্দ বোঝে না! বঙ্গভবন গণভবনও বোঝে না। আমরা সবাই যার যার পাপের পথ থেকে ফিরে আসি। এটাই ফিরে আসার শ্রেষ্ঠ সময়।