করোনা সচেতনতায় মাস্ক, স্যানিটাইজার নিয়ে রাস্তায় শিল্পীরা
করোনা সচেতনতা তৈরি করতে রাস্তায় নামলেন চলচ্চিত্র শিল্পীরা। শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির উদ্যোগে এফডিসির গেটে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ করেন শিল্পীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন, অঞ্জনা, রুবেল, মিশা সওদাগর, অরুণা বিশ্বাস, জায়েদ খান, আলেকজান্ডার বো, জয় চৌধুরীসহ আরও কিছু নবীন অভিনয় শিল্পী।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘সারাবিশ্ব এখন করোনার কারণে থমকে গেছে। এ রোগ থেকে দূরে থাকার উপায় হচ্ছে সচেতন থাকা। করোনা আক্রান্ত দেশ থেকে বাংলাদেশে যেসব প্রবাসীরা এসেছে তাদের প্রথমদিকে আমরা সচেতন ভাবে রাখতে পারিনি। এ জন্য আমরা প্রচণ্ড ঝুঁকির মধ্যে আছি। তাই নিজ উদ্যোগে সচেতন থাকার বিকল্প নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। ব্যবহারের জিনিস, নিয়মিত হাত ধোয়া থেকে শুরু করে সবকিছুতেই সচেতন থাকতে হবে। প্রয়োজনে নামাজ বা প্রার্থনা ঘরে বসে আদায়ের চেষ্টা করতে হবে। নিজেকে রক্ষা করার জন্য সচেষ্ট হলে অন্যজন ভালো থাকবে। আমরা শুধুমাত্র সচেতন থাকলেই করোনা সংক্রামক দূর করতে পারব।’
শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর বলেন, ‘৩১ মার্চ পর্যন্ত শিল্পী সমিতির কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। আমরা প্রত্যেকেই সচেতন থাকার চেষ্টা করছি। আমার স্ত্রী-সন্তান আছে নিউইয়র্ক। সেখানে তারা লকডাউন। আমিও যেতে চেয়েও পারিনি। করোনা নিয়ে যতটা আতঙ্কিত হবো তার চেয়ে বেশি সতর্ক হতে হবে। এটা অপরিহার্য। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং সরকার করোনা নিয়ে অনেক সিরিয়াস। সেখান থেকে নির্দেশনা মানলেই করোনাভাইরাস দূরে থাকা যাবে। তৃণমূল থেকে একেবারে উচ্চপর্যায় পর্যন্ত সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।’
সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, ‘আতঙ্কিত না হয়ে সরকারিভাবে জানানো সতর্কতা যদি মানুষ মেনে চলতে পারে তাহলেই করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি সম্ভব। সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য রিস্ক নিয়ে ঘর থেকে বের হয়েছি। দিনদিন এ রোগ ভয়াবহ অবস্থায় যাচ্ছে। এটা নির্মূল করতে চাই শুধুমাত্র নিজের এবং পরিবারের সচেতনতা।’
প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় বন্ধ করা হয়েছে দেশের সব সিনেমা হল। শুটিংও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আপাতত ২ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এই নিষেধাজ্ঞা। তারপর পরিস্থিতি বুঝে আবারও নতুন ঘোষণা আসবে বলে জানিয়েছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সংগঠনের নেতারা।