শেখ হাসিনার নির্দেশেই নির্বাচন স্থগিত করেনি নুরুল হুদা!
পুরো দেশ এখন প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত। সরকারি হিসাবে দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২০ জন। এর মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)
করোনা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন আশঙ্কা থেকে সরকার স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে। নিষিদ্ধ করা হয়েছে ওয়াজ মাহফিল, মিটিং মিছিলসহ সকল প্রকার সভা সমাবেশ ও জনসমাগম। বলা যায় পুরো দেশ এখন করোনা আতঙ্কে ভুগছে।
কিন্তু লক্ষণীয় বিষয় হলো, মানুষের এসব উদ্বেগ আতঙ্কের মধ্যেই ঢাকার একটিসহ তিনটি আসনে শনিবার উপনির্বাচন করছে নুরুল হুদা কমিশন। তারপর ঢাকাতে হবে ইভিএমে ভোট।
বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের পক্ষ থেকে নির্বাচন স্থগিতের দাবি উঠেছে। এছাড়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) নির্বাচন প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়াবে বলে মন্তব্য করেছে আইইডিসিআর। তারা বলছে, ইভিএম ব্যবহার করলে অবশ্যই ঝুঁকি রয়েছে। ইভিএম যদি ব্যবহার করা হয়, একই ইভিএম বাটনে বিভিন্ন ব্যক্তি টাচ করলে এটাতে অবশ্যই ঝুঁকি আছে। কিন্তু সব কিছুকে উপেক্ষা করেই নির্বাচন করছে নুরুল হুদা।
এ নিয়ে সমালোচনার পাশাপাশি অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, নুরুল হুদা কার ইশারায় এসব করছে? তার পেছনে কোনো শক্তি কাজ করছে?
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এনিয়ে নির্বাচন কমিশনেও অস্বস্তি বিরাজ করছে। নির্বাচন কমিশনাররাও এনিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে নির্বাচন করার জন্য। গণভবন থেকে পরিষ্কার বলে দেয়া হয়েছে যে, নির্বাচন কোনোভাবেই স্থগিত বা বাতিল করা যাবে না।
আওয়ামীলীগের একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মহামারির মধ্যে নির্বাচন করতে চান। তিনি এ সুযোগটাকে কাজাতে লাগাতে চান। তার কথা হলো, সাধারণ ভোটার দরকার নাই। বিএনপি জামায়াত ও সাধারণ ভোটাররা গেলে নৌকার প্রার্থীর চরম ভরাডুবি হবে। এজন্য শেখ হাসিনা নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন না পেছানোর নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশের আলোকেই নির্বাচন করছে নুরুল হুদা।