ভোট শুরু হলেও নেই ভোটার
করোনা আতঙ্কের মধ্যেই জাতীয় সংসদের তিনটি আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। তবে ভোট শুরুর সময় কেন্দ্রে মেলেনি ভোটারদের দেখা।
শনিবার সকাল ৯টায় শুরু হয় ভোটগ্রহণ। একটানা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে রাজধানীর রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট শুরু হওয়ার ১০ মিনিট পরেও ভোটারের দেখা মেলেনি।
নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, ভোটার না আসায় সব প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও তারা ভোটগ্রহণ শুরু করতে পারছেন না।
বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে শ্রীলঙ্কা তাদের জাতীয় নির্বাচনের ভোট স্থগিত করেছে।
আপত্তি থাকা সত্ত্বে বাংলাদেশে আজ ঢাকা-১০ আসনসহ গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ আসনে ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে। ঢাকা-১০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হচ্ছে।
মেয়র নির্বাচন এবং সংশ্লিষ্ট আসনের সংসদ সদস্যের মৃত্যুর কারণে এসব আসন শূন্য হয়।
শুক্রবার করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) নিয়মিত ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘ইভিএম সিস্টেম যদি ব্যবহার করা হয়, একই জায়গায় অনেক ব্যক্তি টাচ করলে এটাতে অবশ্যই ঝুঁকি আছে।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নির্বাচন স্বেচ্ছাচারিতা ও একগুঁয়েমির নির্বাচন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হাফিজ উদ্দিন খান দেশ বলেন, ‘এই ইলেকশন করা অন্যায়। সরকার যদি চায় তাহলেই তো ভোট হয়। এত সিদ্ধান্ত নিল। কিন্তু এই অর্থশূন্য নির্বাচন করতে হবে। সিটি করপোরেশন নির্বাচন করে তাদের বসাইয়া রাখছে। এখন কেউ কাজ করতে পারছে না।’ এ ভোটের মাধ্যমে যদি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হয় এর দায় ইসিকে নিতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এটা বাড়াবাড়ি ও একগুঁয়েমির নির্বাচন।’
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমার তো মনে হয় স্বেচ্ছাচারিতা; চরম স্বেচ্ছাচারিতা। মানুষের নিরাপত্তায় শুধু উদাসীনতা। এই কমিশন শুধু ভোটাধিকার হরণ নয়, নাগরিকদের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলছে।’ এটা অবিশ্বাসযোগ্যে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘জনগণ কোনো ভোট মেনে নেয়নি। জনগণের কিছু করার নেই।’