বাস-লঞ্চ-রেলস্টেশনে ভিড়: ঢাকা ছাড়ছে মানুষ, রাস্তা ফাঁকা
রাজধানীর রাস্তাগুলো এখন অনেকটাই ফাঁকা। করোনা সংক্রমণ এড়াতে লোকজন বাইরে বের হচ্ছেন না। অনেকে অফিস করছেন বাসায় বসে। ছুটি নিয়ে বাসায় সময় পার করছেন কেউ কেউ। অনেকে ঢাকা ছেড়ে গ্রামের বাড়ি কিংবা মফস্বল শহরে যাচ্ছেন।
তাই শুক্রবার গাবতলী, সায়েদাবাদ, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, সদরঘাটে ভিড় দেখা গেছে। তবে বাইরে থেকে ঢাকায় আগত লোক ছিল খুবই কম।
সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও হানা দিয়েছে মরণঘাতী করোনাভাইরাস। শুক্রবার পর্যন্ত দেশে ২০ জন আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে একজন মারা গেছেন। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এ তথ্য জানিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে সিনেমা হল, বিভিন্ন বার রেস্টুরেন্ট। ঢাকা-রাজশাহী বাস যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বাস সার্ভিস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাস মালিকরা।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করার পর বিপুলসংখ্যক মানুষ ঢাকা ছেড়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। ঘরমুখী মানুষ বাস টার্মিনাল ও রেলস্টেশনে ভিড় করেছেন। কমলাপুর, বিমানবন্দর ও ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশনে বিপুলসংখ্যক যাত্রী ভিড় করেন। এ অবস্থা আরও কয়েক দিন থাকতে পারে।
ঢাকার ব্যস্ততম জায়গা গুলিস্তান, ফার্মগেট, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, গাবতলী, শাহবাগ, মতিঝিল, পল্টন, বাংলামোটর, কাকরাইল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এসব এলাকা অনেকটাই ফাঁকা। কোথাও যানজট নেই। ব্যস্ত মোড়ে মানুষের জটলাও নেই। যাত্রী সংকটে বাস ও মিনিবাসগুলোকে স্টপেজে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
দুপুরে গুলিস্তান এলাকার রাস্তা ও ফুটপাতগুলো অনেকটাই ফাঁকা দেখা যায়। গুলিস্তানে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার যেখানে নেমেছে সেখানে প্রতিদিন যানজট লেগে থাকলেও শুক্রবার দেয়া যায় ভিন্নরূপ। একটা-দুটো করে বাস আসছে। যাত্রীও একেবারেই কম। পল্টন মোড়ে লোকসমাগম চোখে পড়েনি। গাড়িও দেখা গেছে কম।