করোনা ইস্যুতে সরকারের ধীরগতিই বিপদের কারণ : দুদু
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, করোনা ভাইরাসের মোকাবেলায় সরকার যেভাবে ধীরে ধীরে আস্তে আস্তে পদক্ষেপ নিচ্ছে এটা বিপদের কারণ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস যে সরকার শুধু একাই মোকাবেলা করতে পারবে এটাও আমরা মনে করি না। এই জন্য সাধারণ জনগণের সচেতনতা বাড়ানোর যে পদক্ষেপ নেয়া দরকার তা নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম দলের উদ্যোগে করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধে বিনামূল্যে পথচারীদের মাঝে মাস্ক বিতরণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি জনি হোসেন সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-তথ্য বিষয়ক সম্পাদক ও ডিইউজের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, মুক্তার আকন্দ, সংগঠনের সহ-সভাপতি মো: কামাল হোসেন, মো: সুজন হাসান, মশিউজ্জামান, ইমরান প্রমুখ।
দুদু বলেন, যেসব দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছে, তারা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যেমন ইরান করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরে তাদের ৮০ হাজার আসামিকে জেল থেকে মুক্ত করে দিয়েছে। তাই সরকারকে অনুরোধ করবো বিপর্যয় মারাত্মক রূপ ধারণ করার আগেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ যাদেরকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে রাখা হয়েছে তাদেরকে মুক্তি দেন। তিনি বলেন, ধনী-গরীব মধ্যবর্তী অনেক দেশেই করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে আমার দেশেও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী একজন মৃত্যুবরণ করেছে। চারজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে এবং আরো অনেকেই চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়াও ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে অসংখ্য মুষকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। আমাদের দেশে করোনা আক্রান্ত মধ্য দিয়ে আমরা বুঝতে পারছি আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
সরকারের উদ্দেশ্যে সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সাংবাদিক, স্বেচ্ছাসেবক কর্মীদের সাথে মিটিং করে দেশের মানুষকে করোনা ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচাতে যা যা করা দরকার তাই করুন। র্যাব পুলিশ ও সেনাবাহিনীর মাধ্যমে কিভাবে করোনা ভাইরাসের হাত থেকে দেশের মানুষ মুক্ত থাকতে পারে তার একটা ব্যবস্থা করুন।
বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, শুধু রাজনৈতিক দল ও সরকার এই পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে পারবেন না। এর মোকাবেলা করতে হলে সাধারণ জনগণ, রাজনৈতিক দল, সরকার সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করতে হবে। যার যতটুকু সামর্থ্য আছে সেটাকে কাজে লাগাতে হবে। দায়িত্ব এড়িয়ে গিয়ে শুধু নিজে বাঁচবো এই প্রবণতা আত্মঘাতী হয়ে যাবে।