৩ শর্ত মেনে ঢাকায় আসতে পারবেন মোদী
মুজিববর্ষকে সামনে রেখে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফরে তিনটি শর্ত জুড়ে দিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
শর্ত তিনটি উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘প্রথমত, ফেলানী হত্যা ও সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে; দ্বিতীয়ত, ভারতের হাই কমিশনের সামনের রাস্তার নাম হবে ফেলানী রোড; আর তৃতীয়ত, আমরা যে পানির ন্যায্য হিস্যা পাচ্ছি না সেই হিস্যা দিতে হবে।’
সোমবার (২ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে জেএসডির উদ্যোগে পতাকা উত্তোলন দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের রাষ্ট্রীয় এক নেতাকে (খালেদা জিয়া) জামিন দেয়া হচ্ছে না। তাঁকে জামিন না দেয়ার কারণ হলো বিচারকরা। বিচারকরা বর্তমানে ফুটবল খেলোয়াড় হয়ে গেছেন। ফুটবল খেলোয়াররা দলীয় লেবাস ধরে, বিচারকরা দলীয় লেবাস না ধরলেও দলীয় কাজ করে যাচ্ছেন। বিচারকদের কাজ সরকারের মনোরঞ্জন করা নয়, কিন্তু তারা তাই করছে।’
তিনি বলেন, ‘এই মার্চ মাসেই বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- ‘আমি তোমাদের লোক, আমি বাংলাদেশের লোক’। আর আমাদের বর্তমান সরকার বলছে, ‘আমরা ভারতের লোক’। ভারতকে কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য সেদেশের প্রধানমন্ত্রী যার ভারতের নাগরিকত্ব কাগজ নাই সেই মোদীকে নিয়ে আসা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারতে কি হচ্ছে আমরা জানি। দিল্লিতে কি হচ্ছে আমরা জানি। একটা টুইট লেখার কারণে ভারত থেকে বাংলাদেশের ছাত্রকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী মোদী কী করে মুজিববর্ষে প্রধান অতিথি হতে পারে? এটা আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুনর্বিবেচনা করা উচিত। এই বিবেচনা না করলে বঙ্গবন্ধু নিশ্চয়ই কবরে বসে কাঁদবেন এবং বলবেন- এইভাবে তাঁকে অপমান করার অধিকার বাংলাদেশ সরকারের তো নাই, আমাদের নাই!’
গণতন্ত্রকে হত্যা করে বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে মুজিববর্ষ পালন যথার্থ হবে না বলেও মন্তব্য করেন ডা. জাফরুল্লাহ।
জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রবের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি ও ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর প্রমুখ।