‘ব্যাংক ও ভোট লুটকারীরা একাকার হয়ে গেছে:
ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের কথা উল্লেখ করে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, ‘পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের টাকা লুট করে জুয়ার বাজারে বিনিয়োগ করা হচ্ছে।
বুধবার পর্যন্ত এই লুটকারীদের কারও গ্রেফতার করা হয়নি। বাংলাদেশে আজ ব্যাংক লুটকারী ও ভোট লুটকারীরা একাকার হয়ে গেছে।’
আজ বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর দৈনিক বাংলা মোড়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশি বাধার মুখে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে ব্যাংক ও আর্থিক খাতে দুর্নীতির প্রতিবাদে বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক অভিমুখে যাওয়ার সময় দৈনিক বাংলা মোড়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন বাম গণতান্ত্রিক জোট নেতারা।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সাইফুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশ এমন একটা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে যেখানে মাত্র ২ কোটি টাকার জন্য একজনকে ৫ থেকে ৭ বছরের জেল দেয়া হচ্ছে, আর হাজার হাজার কোটি টাকা লুটকারীরা প্রকাশ্যে, বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যেমন ভারতকে লুট করেছে তেমনি বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে লুট করছে। এই সরকারের তৃতীয় শ্রেণির নেতাদের বাসা থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তাহলে চিন্তা করে দেখেন, প্রথম শ্রেণির নেতাদের ঘরে কত কোটি টাকা আছে? এই লুটকারীদের থেকে বাঁচতে হলে এ সরকারের পদত্যাগ দরকার। তাহলে দেশের জনগণ তাদের অধিকার ফিরে পাবে, ভোটাধিকার ফিরে পাবে এবং বাংলাদেশ লুটকারীদের হাত থেকে বাঁচবে।’
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বাম নেতা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক কমরেড শাহ আলম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও বামদলের নেতৃবৃন্দ। সমাবেশ শেষে নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ ব্যাংকে স্মারকলিপি পেশ করতে যান।