শেখ হাসিনা ভারতে বসে প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্র করছে, তার লোকেরা সরকারে সক্রিয়: অলি আহমদ

0

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্র করছেন এবং তার লোকেরা অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতরে সক্রিয় রয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি ও অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অলি আহমদ।

তিনি বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশদ্রোহীদের গ্রেফতার, অস্ত্র উদ্ধার ও শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় কখনো অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। কারণ, শেখ হাসিনা ভারতে বসে প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে এবং তার লোকেরা সরকারের অভ্যন্তরে সক্রিয়।

অলি আহমদ বলেন, অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় সংসদসহ বিভিন্ন স্তরের নির্বাচনে যেসব কর্মকর্তা কর্মচারী দায়িত্বরত হবে তাদেরও শাস্তির আওতায় আনতে হবে। অন্যথায়, স্বৈরাচারী সরকারের মদতপুষ্ট গুন্ডাবাহিনী ভোটকেন্দ্রে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এর কোনো বিকল্প নেই। এ ব্যাপারে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে নতুনভাবে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিতে হবে।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর মগবাজারে এলডিপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার দোসরা এখনো চাকরিতে বহাল আছে। এর জবাবদিহি কে করবে। তাদের ষড়যন্ত্রের হাত থেকে দেশবাসীকে কে রক্ষা করবে।

এলডিপি সভাপতি বলেন, সরকারি-বেসরকারি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোতে কাজের চরম ধীরগতি। গত এক বছরে কোনো কোনো সংস্থা বা মন্ত্রণালয়ে কাজের তেমন অগ্রগতি নেই বললেই চলে। উদাহরণস্বরূপ রাজউক।

তিনি বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটেছে। কিছু মন্ত্রণালয় দেউলিয়াপনায় ভুগছে। কারণ, সেখানে এখনো স্বৈরাচারী সরকারের মদতপুষ্ট অনেক কর্মকর্তা ঘাপটি মেরে বসে আছে।

‘প্রথমবার শুনলাম, নির্বাচনের আগে লটারির মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের বদলি করা হবে। মনে হয় অনেকে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে। বদলির জন্য লটারি কোনো সমাধান হতে পারে না। বরং বদলি করা হবে নির্দিষ্ট এলাকার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে। লক্ষ্য হওয়া উচিত অস্ত্রধারী ও গুন্ডারা যেন নির্বাচন প্রভাবিত করতে না পারে।’

বিগত সরকারের সময়ে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হওয়া মিথ্যা মামলাগুলো পুরাপুরি প্রত্যাহারে অন্তর্বর্তী সরকার জরুরিভিত্তিতে পদক্ষেপ নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

অলি আহমদ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দুর্নীতিবাজ ও দেশদ্রোহীদের খুঁজে বের করতে হবে। তাদের কঠিন শাস্তির আওতায় আনতে হবে। যে বা যারা স্বৈরাচারদের সাহায্য করবে, তারা পরাজিত হবে এবং ভারতের দালাল হিসেবে চিহ্নিত হবে।

তিনি বলেন, দুর্নীতি এখনো বন্ধ হয় নাই। দুর্নীতি দমন কমিশনকে তাদের কর্মকাণ্ডের পরিধি আরও বাড়াতে হবে।

‘দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারকে আরও তৎপর থাকতে হবে। কারণ, হাসিনার মদতপুষ্ট বড় বড় কয়েকজন ব্যবসায়ী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। শিগগির তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল হবে না।’

অর্থ উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে এলডিপি সভাপতি বলেন, বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংক বিনা অজুহাতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি থেকে বের করে দিচ্ছে। তারা ন্যায়বিচার পাচ্ছে না। গত এক বছরে কতজন নতুন চাকরি পেয়েছে আর কতজনকে ব্যাংক থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে অর্থ উপদেষ্টার বক্তব্য প্রত্যাশা করছি।

‘অথচ দুর্নীতিবাজ, লুটেরা ও শেখ হাসিনার দালালেরা এসব প্রতিষ্ঠানে বহাল তবিয়তে আছে। অনেক উপদেষ্টা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে’- এ প্রসঙ্গে যোগ করেন তিনি।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.