দেশের মানুষ জিয়া-খালেদার সৈনিক তারেক রহমানের নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়: খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের মানুষ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শক্তির পক্ষে। দেশের মানুষ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সৈনিক, বেগম খালেদা জিয়ার সৈনিক তারেক রহমানের নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়।
বিএনপিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীর কোনো স্থান নেই। বারবার বলছি, কোনো শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীর জায়গা হবে না বিএনপিতে।
৫-৬ হাজারকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কোনো দখলদার, চাঁদাবাজদের জায়গা নেই বিএনপিতে। তাই সুশৃঙ্খল রাজনীতির চর্চা করতে হবে। কোনো ভাইয়ের রাজনীতি বিএনপিতে চলবে না। শুধু বিএনপির রাজনীতি করতে হবে।
বুধবার (৬ আগষ্ট) বিকেলে নগরের নিউমার্কেট মোড়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত বিজয় র্যালি পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, দেশের মানুষ আগামী দিনে যে গণতন্ত্রের পথে চলবে, তার জন্য আমাদের অর্থনীতিতে গণতন্ত্রায়ণ করতে হবে। আমাদের অর্থনীতিতে সকলের সমানভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে, এটাই হচ্ছে বিএনপির আগামী দিনের কর্মসূচি। তাই এখান থেকে আপনারা যার যার এলাকায় গিয়ে ধানের শীষের এ খবরগুলো, আগামী দিনে তারেক রহমানের নেতৃত্বে যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন, সেই স্বপ্ন আপনাদেরকে দেখাতে হবে। জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আজকের এ বাংলাদেশ, আমরা গণতন্ত্রের দিকে চলেছি। দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার যাত্রা শুরু হয়েছে। এ গণতন্ত্র বাংলাদেশের জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য শুরু করেছি। গত ১৬ বছর ধরে ত্যাগ, জেল, গুম, খুন হয়েছি দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। আজকের এ কর্মসূচি দেশের মানুষের গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার এবং মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার যাত্রা। আজকে আমরা নির্বাচনের সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, সফলভাবে তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা ফ্যাসিস্ট, স্বৈরাচারকে বিদায় করতে পেরেছি। আমাদের বহু প্রাণের বিনিময়ে, ত্যাগের বিনিময়ে আজকে এ জায়গায় বিএনপির নেতৃত্বে দেশের জনগণকে নিয়ে সফলভাবে গণতন্ত্রের পথে চলতে শিখেছি। আমরা এখন নির্বাচনের সড়কে ঢুকেছি। দেশের মানুষ ধানের শীষের অপেক্ষায় আছে। লক্ষ লক্ষ জনতা আজকে এখানে জমায়েত হয়েছে শুধুমাত্র গণতন্ত্রের যে অগ্রযাত্রায় আমরা নেমেছি, সেটাকে সফলভাবে আরো বেশি সমাদর করতে হবে। এ গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে কেউ যাতে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আজকে এ নির্বাচনের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে, কিছু কিছু শক্তি সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তাদের জন্য কোনো জায়গা দেওয়া হবে না। গণতন্ত্রের বিজয়ের পথে আমরা চলছি, দেশের মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। এ পথে যারা বাধাগ্রস্ত করবে আগামীদিনে দেশের মানুষ তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করবে। আগামী দিনে আমরা এক কোটি মানুষের চাকরি ১৮ মাসের মধ্যে দিব ইনশাআল্লাহ, সেই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। দেশের মানুষের প্রাথমিক চিকিৎসা বিনামূল্যে দিব ইনশাআল্লাহ। আগামী দিনে দ্রব্যমূল্য কমিয়ে সাধারণ মানুষ যাতে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে, সেটারও শপথ আমরা নিয়েছি।
শেখ হাসিনার কথা উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, তারা রাজনীতি করবে, ভোটে যাবে না। তারা রাজনীতি করবে, গণতন্ত্র বিশ্বাস করবে না। তারা রাজনীতি করবে তাদের মতো করে সমস্যা সমাধানের জন্য। জনগণকে বাইরে রেখে, যেটা শেখ হাসিনা বারবার করেছে। দেশের মানুষকে বাইরে রেখে সে তার মতো করে দেশ চালিয়েছে। আবারও কিছু কিছু শক্তি নেমেছে দেশের মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে জনগণকে বাইরে রেখে তাদের মতো করে সিদ্ধান্ত নিয়ে, তাদের মতো করে দেশ চালাতে। এটা বাংলাদেশের মানুষ কোনো দিনও গ্রহণ করবে না।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে বিজয় র্যালীটি নগরের নিউ মার্কেট মোড় থেকে শুরু হয়ে কোতোয়ালী মোড়, লালদিঘী, বক্সি বিট, আন্দরকিল্লা মোড়, চেরাগি মোড় হয়ে প্রেসক্লাবের সামনে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।