‘ক্রিকেট দেবতাদের অপমান করেছে বলেই হেরেছে ইংল্যান্ড’ – বিশ্বাস অশ্বিনের
ইংল্যান্ড থেকে দারুণ এক সিরিজ ড্র নিয়ে দেশে ফিরছে ভারত। দলের এমন পারফর্ম্যান্সের পর এমন অর্জনের প্রধান কুশীলব পেসার মোহাম্মদ সিরাজ ও প্রসিধ কৃষ্ণের প্রশংসা করেছেন ভারতের সাবেক স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তাদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওভালে পঞ্চম টেস্টে ৬ রানে জিতেছিল ভারত। তবে প্রশংসার পাশাপাশি হ্যারি ব্রুকের ওপর ক্ষোভ ঝেড়েছেন অশ্বিন।
ইংল্যান্ড ৩৭৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করছিল। হ্যারি ব্রুক দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করেন। তার সঙ্গে ১৯৫ রানের জুটি গড়েন জো রুট, যিনি নিজেও তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন। তখন মনে হচ্ছিল, ইংল্যান্ডই ম্যাচ জিতবে এবং সিরিজ ৩-১ ব্যবধানে নিজেদের করে নেবে।
কিন্তু হঠাৎ করেই হ্যারি ব্রুক আউট হয়ে যান। তিনি আকাশ দীপকে আক্রমণ করতে গিয়ে ধরা পড়েন। সেখান থেকেই ম্যাচ ঘুরে যায় ভারতের পক্ষে। এরপর সিরাজ ও প্রসিধ কৃষ্ণ দারুণ বোলিং করে ভারতের জয় নিশ্চিত করেন। ফলে অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফি ২-২ এ ড্র হয়।
এই ম্যাচ নিয়ে নিজের ইউটিউব শো ‘অ্যাশ কী বাত’-এ অশ্বিন বলেন, ‘যখন সে (ব্রুক) ১০০-৩ স্কোরে ব্যাট করতে নামে, তখন ইংল্যান্ড ম্যাচে ছিল না। সে আকাশ দীপের বিরুদ্ধে ঝুঁকি নিয়ে যখন রান তুলছিল, তখন মনে হচ্ছিল বড় হার অপেক্ষা করছে। কিন্তু যখন সে আউট হয়ে যায়, তখনই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। এই মুহূর্তটা হ্যারি ব্রুকের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকতে পারত। সে চাইলে ব্যাট হাতে মাথা উঁচু করে দ্য ওভাল ছাড়তে পারত। তার পাশে থাকতেন রেকর্ড ভাঙা জো রুটও। ইংল্যান্ড সিরিজ ৩-১ এ জিতত।’
ব্রুক বিদায় নেওয়ার ফলেই ম্যাচটা ভারতের পক্ষে চলে এসেছে, বিশ্বাস অশ্বিনের। তিনি বলেন, ‘কিন্তু সে দায়িত্বজ্ঞানহীন শট খেলেছে। তার শাস্তি হিসেবে ইংল্যান্ড ম্যাচ হেরেছে এবং সিরিজ ড্র করতে হয়েছে। একজন অধিনায়ক বা কোচ হিসেবে আপনি বলতে পারেন এটা আমাদের ক্রিকেট খেলার ধরন। বলতে পারেন ব্রুক আমাদের দর্শনে বিশ্বাস রেখেছে, আমাদের কৌশল অনুসরণ করেছে। কিন্তু এসব বলা সহজ, করা কঠিন। টেস্ট ক্রিকেটে ভারসাম্য থাকা জরুরি। হ্যাঁ, আমি মানছি এই মানসিকতাই প্রথম ইনিংসে রান এনে দিয়েছে। কিন্তু চতুর্থ ইনিংসে আপনি যখন ১০০ রানে খেলছেন এবং জয় কাছাকাছি, তখন দলের দায়িত্ব নেওয়াটা জরুরি।’
অশ্বিন আরও জানান, ইংল্যান্ড এই দ্রুত রান তোলার তাড়ায় ‘ক্রিকেট দেবতাদের’ও অপমান করেছে। হারটা তারই ফল। তিনি বলেন, ‘ব্রুক সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেনি। সবকিছু চাপ পড়ে যায় রুটের ওপর। ভারতের সৌভাগ্য, তখন পরিবেশও বদলে যায়। এমনটাই হয় যখন ক্রিকেট দেবতাদের অসম্মান করা হয়। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দেবতাদের অপমান করেছে। এমনকি মেঘও একত্র হয়ে নেমে এসেছে, মাঠে কান্না করেছে এবং বল অনেক ঘুরতে শুরু করে।’