ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য ইসিকে প্রধান উপদেষ্টার জানানো উচিত: সালাহউদ্দিন

0

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির শুরুতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) প্রধান উপদেষ্টার জানানো উচিত বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

তিনি বলেন, আমরা সবসময় দলের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়েছি- লন্ডনে বৈঠকের পর প্রতিশ্রুত এবং সম্মত দিন-তারিখ-মাস, ফ্রেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে রমজানের আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার জানানো উচিত অথবা তার অফিস থেকে।

রোববার (২৭ জুলাই) বিকেলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনার বিরতিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, সেটা (প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা) যতক্ষণ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন না পাবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা নিজেরা নিজেরা যা-ই আলোচনা করি, অথবা প্রধান উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করুন বা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করুন, সেটা নির্বাচন কনিশনের জন্য গুরুত্ববহ হবে না।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সেটা তখনই নির্দেশনা বা অনুরোধ হিসেবে মেনে নেবে, যখন অফিসিয়ালি সেই কমিউনিকেশন বা মেসেজ যাবে। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অনুরোধপত্র পাবে।

সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, সেটার (প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা) জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। সেটা আগামী ১০ দিনের মধ্যে দিতে পারে বলে কয়েকজন রাজনীতিবিদ গতকাল বলেছেন। কিন্তু সেটা হচ্ছে প্রেসের সঙ্গে রাজনীতিবিদদের কথা। কিন্তু এটা ইফেকটিভ হবে যখন প্রধান উপদেষ্টা অফিসিয়ালি এটা ভাষণ দিয়ে জাতিকে জানাবেন এবং সেটা নির্বাচন কমিশনকে কমিউনিকেট করবেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, যত বাড়ই হোক, এক ব্যক্তির সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রীমন্ত্রিত্বের পক্ষে বিএনপি। এতে ফ্যাসিবাদি ও স্বৈরাচারী প্রথা কমতে পারে। তাছাড়াও নির্বাচন কমিশনসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠানগুলোতে এ নিয়ম চালু থাকা উচিত। সংবিধানের মূলনীতিতে কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে বিএনপি একমত। তবে পঞ্চম সংশোধনীতে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসের ধারা রাখার পক্ষে বিএনপি। পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন নিয়েও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দলটি একমত।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, মূলত কোনও শাসক যেন স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার সুযোগ না পান, সে জন্য আমরা এক ব্যক্তির ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকার বিপক্ষে। টানা বা বিরতি দিয়ে যেভাবে হোক প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ১০ বছরের বেশি হবে না। অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই এ বিষয়ে একমত বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ কমিশন গঠনের বিষয়ে সবাই একমত। মূলত শৃঙ্খলা রক্ষার জন্যই এ কমিশনের প্রস্তাব উঠেছে। কোনও পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে তার তদন্ত করা হবে। কমিশনের মৌলিক দায়িত্ব কী হবে তাও আইনের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। সেখানে একমত হয়েছে দলগুলো। আমরা বলেছি, পুলিশ বিভাগের কর্মকাণ্ড জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। তারা যেন মানবিক হয়।

তিনি বলেন, নারী আসনে বিদ্যমান ১০০ জনের আনুপাতিক করার পক্ষে আমরা মত দিয়েছি। তবে কিছু আসনে সরাসরি নির্বাচন করে আসা দরকার। তাই এবারের নির্বাচনে যে দল ৩০০ আসনে মনোনয়ন দেবে তারা যেন ৫ শতাংশ আসনে নারীদের মনোনয়ন দেন। পরবর্তী সময়ে ১০ শতাংশ এবং পর্যায়ক্রমে পরবর্তী পার্লামেন্টে আরও বাড়ানো যেতে পারে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.