খালেদা জিয়া মুক্তি আন্দোলন ঢাকা মহানগরসহ দেশব্যাপী স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ
বর্তমান অবৈধ সরকারের চরম রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তি, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এবং বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে গত শনিবার মিরপুরে দেশনেত্রীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর পুলিশী হামলা ও তাঁকে সহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে ব্যাপক লাঠিচার্জে গুরুতর আহত করার প্রতিবাদে আজ সোমবার, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে ঢাকা মহানগরসহ দেশব্যাপী জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়।
ঢাকা মহানগর –
‘গণতন্ত্রের মা’ দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে এবং বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর ওপর পুলিশী হামলা ও তাঁকে সহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে ব্যাপক লাঠিচার্জে গুরুতর আহত করার প্রতিবাদে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি শফিউল বারী বাবু এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল এর নেতৃত্বে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন-সংগঠনের কেন্দ্রীয় সিনিয়র য্গ্মু সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদরেজ জামান, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিন, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক গাজী রেজওয়ান হোসেন রিয়াজ, দক্ষিণের সিনিয়র সহ-সভাপতি রফিক হাওলাদার, কেন্দ্রীয় সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনু মোঃ শামীম আজাদ, ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল, সহ-সাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন ফারুক, সাবেক কেন্দ্রীয় তাঁতী বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মনির, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল ইসলাম সাঈদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান মোসাব্বির, কেন্দ্রীয় সাবেক সহ-সম্পাদক ফরহাদ উদ্দিন, অমিত হাসান হাফিজ, সাবেক সদস্য এ বি এম মুকুল, ডাঃ জাহিদুল কবির জাহিদ, আমিনুল ইসলাম তালুকদার মহসিন, মোঃ জসিম উদ্দিন, এস এম সায়েম, সালেহ আহমেদ কাঞ্চন, কেন্দ্রীয় নেতা সুলতান মোঃ নাসির, মোঃ আরিফুর রহমান, সরদার নুরুজ্জামান, ড. মফিদুল ইসলাম, ইউসুফ হারুন পাটোয়ারী, হাজী নুরুল আলম মোল্লা, সাইদুর রহমান মামুন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোর্শেদ আলম, এ্যাড. নুরুল হক, মোঃ আবু সাঈদ, ফয়জুল্লাহ মহাজন, আলমগীর হোসেন শাহীনসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
মিছিল শেষে এক পথসভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শফিউল বারী বাবু বলেন, দেশের বর্তমান শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমরা চলমান সময় অতিবাহিত করছি। দেশে এখন মানুষের ন্যুনতম কোন নিরাপত্তা নেই। যিনি দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রামে সাহসিকতার সাথে জীবনের সিংহভাগ ব্যয় করেছেন, আমাদের সেই প্রাণপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক ময়দানে পরাস্ত করতে সক্ষম না হয়ে ক্ষমতাসীন অগণতান্ত্রিক অপশক্তি মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে, আদালতের রায়ের দোহাই দিয়ে কারারুদ্ধ করে রেখেছে। দেশনেত্রীর শারীরিক অবস্থা বর্তমানে অত্যন্ত সংকটাপন্ন। তাঁকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা না হলে যেকোন সময় অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে যেতে পারে, আর সেজন্য বর্তমান শাসকগোষ্ঠীকেই দায়ী হতে হবে। তাই জনগণের দাবি বেগম খালেদা জিয়াকে এখনই মুক্তি দেয়া হোক। গত শনিবার মিরপুরে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলের ওপর পুলিশ হামলা চালিয়ে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবসহ বেশকিছু নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করার মধ্য দিয়ে প্রমান করেছে যে, তারা সরকারী দলের দলীয় কর্মীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। মূলত: আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম-নির্যাতন অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্যই হলো-নেতাকর্মীরা যাতে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে ভয় পায় এবং বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তি নিয়ে মাথা সোজা করে দাঁড়াতে না পারে। কিন্তু সরকারের উদ্দেশ্যে বলতে চাই-জনগণ তথা বিএনপি’র ওপর নিপিড়ণ চালিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। গণতন্ত্র পুণ:রুদ্ধার এবং দেশনেত্রীর মুক্তির জন্য আমাদের শরীকে এক ফোঁটা রক্ত থাকা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যেতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল তার বক্তব্যে বলেন, এই সরকার মনে করে বাংলাদেশের মানুষের প্রাণশক্তি বেগম খালেদা জিয়া জনগণের মাঝে সক্রিয় থাকলে অপকর্ম করা যাবে না। লুটপাট করা যাবেনা। দেশকে বিদেশীদের কাছে বিক্রি করা যাবে না। ভোট ডাকাতি করা যাবে না। একারণে দুটি মিথ্যা মামলার রায়ে সম্পূর্ণ বিনা অপরাধে তাঁকে সাজা দিয়ে কারাগারে বন্দী রেখে হত্যা চেষ্টা চলছে। যে নেত্রী একটি টাকাও তসরুপ করেননি, তাঁকে শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণতার শিকার বানিয়ে সম্পূর্ণ বিনা অপরাধে হত্যার জন্য জেলে রাখা হয়েছে। তিনি এদেশের ১৭ কোটি মানুষের কাছে নিকট সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। সেজন্য আওয়ামী লীগ প্রধান ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা হিংসা-প্রতিহিংসার আগুনে জ¦লছেন। সরকারকে বলবো-মিথ্যা আর প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসুন। গণমানুষের প্রাণাধিক প্রিয় ও মাদার অফ ডেমোক্রেসি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার ষড়যন্ত্র বন্ধ করে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দিন।
ঢাকা মহানগর ছাড়াও বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে এবং গত শনিবার মিরপুরে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর পুলিশী হামলা ও তাঁকে সহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে ব্যাপক লাঠিচার্জে গুরুতর আহত করার প্রতিবাদে সারাদেশে সকল জেলা ও মহানগরে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।