ভয়কে জয় করে ‘খালেদা জিয়া মুক্তি আন্দোলন’কে এগিয়ে নিতে হবে
বিএনপির জাতীয় স্থায়ীকমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সরকারের মধ্যে যে ভয় কাজ করছে, সেই ভয়ের কারণে খালেদা জিয়ার জামিন হচ্ছে না। তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় দেশের বাইরে থাকতে হচ্ছে এবং রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানগুলোতে তাদের ভয়-ভীতির প্রতিফলন ঘটছে।
রোববার, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০, জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন’ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকারের নিজের ভয়কে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার অপকৌশলকে আমাদের রুখতে হবে (We have to call AL’s bluff)। ছাত্রদেরকে ভয় তাড়ানোর কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিতে হবে।
আমীর খসরু বলেন, সরকারের প্রথম পদক্ষেপ ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া। এরপর ক্ষমতায় থাকতে হলে একটার পর একটা অধিকার কেড়ে নিতেই হবে। ক্ষমতায় থাকতে হলে তাদের অব্যাহতভাবে এ কাজগুলো করতে হবে এবং দিনের পর দিন এ কাজগুলো খারাপের দিকে যাবে। সেটায় তারা করছে। তারা বিএনপির নয় জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। আজকে তাদের (সরকার) কারণে আমাদের মধ্যে ভয়ের সৃষ্টি হচ্ছে। সেই ভয়কে ভয় হিসেবে মেনে নেওয়ার কারণে শক্তিশালী অবস্থানে থেকেও প্রতিবাদ করতে পারছি না।
আমীর খসরু আরও বলেন, দেশনেত্রীর মুক্তি আজকে বড় ধরনের প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সামাজিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে যেখানেই যাবেন, নেত্রী কবে মুক্তি পাবেন— এই কথাটা আমাদের দৈনন্দিন সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের জামিন হবে কী হবে না, সেটা আলোচনার বিষয় হতে পারে না। দেশের বিদ্যমান আইন হিসেবে উনার জামিন হওয়ার কথা। সেটাও বাদ দিলাম, উনার যে বয়স, উনার যে স্বাস্থ্য, যে অবস্থায় উনি আছেন, মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। সে কারণেও জামিন দেওয়ার কথা। এটাও দেশের আইন। কিন্তু সেখানেও উনার জামিন হচ্ছে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আজকে খালেদা জিয়াকে জেলে যেতে হয়েছে তাদের ভয়ের কারণে। কারণ, তিনি বাইরে থাকলে তাদের বিপদ। কারণ, রাজনৈতিকভাবে তাদের পরাজিত হতে হবে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সমমানের রাজনীতিবিদ আওয়ামী লীগের তরুণ জেনারেশনের মধ্যে নাই। এমনকি বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর পরিবারেও নাই। সুতরাং মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশের বাইরে রাখতে হবে তাকে। এখানেই শেষ নয়, তাদের ভয়ভীতির কারণে গুম করতে হয়, খুন করতে হয়, মিথ্যা মামলা দিতে হয় এবং রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্ষমতায় থাকার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে হয়।’
ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক আবদুস সাত্তার পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামন দুদু, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা মো. মাইনুল ইসলাম, মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেত্রী আরিফা সুলতানা প্রমুখ বক্তৃতা করেন।