জামিন পাওয়া খালেদা জিয়ার হক — মির্জা আলমগীর

0

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,‘যিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষক এবং যার সহধর্মিণী যুদ্ধ চলাকালীন সময় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে আটক ছিলেন, সেই নেত্রীর মুক্তির জন্য স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর মানববন্ধন করতে হচ্ছে। এর চাইতে লজ্জাজনক আর কিছুই হতে পারে না।’

রোববার, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি একথা বলেন।

মির্জা আলমগীর বলেন, যেই মানুষটি শুধুই একজন গৃহবধূ ছিলেন, তিনি জাতির প্রয়োজনে এরশাদবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে নেমে স্বৈরাচারের পতন করে এদেশের গণতন্ত্রকে পুন:রুদ্ধার করেছিলেন। আজকে সেই নেত্রী কারাগারে বন্দী। এর চাইতে বড় লজ্জা আর কিছু হতে পারে না।

তিনি বলেন, এই মামলায় জামিন পাওয়া বেগম খালেদা জিয়ার হক। তাকে আটকে রাখার কোনো আইনি বিধান নেই। সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে তাকে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এরকম মামলায় নাজমুল হুদা জামিনে আছেন, মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া জামিনে আছেন, মহিউদ্দিন খান আলমগীর জামিনে আছেন। তারা জামিন পেলেও সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য যিনি গণতন্ত্রের মা সেই দেশনেত্রীকে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকে রেখেছে সরকার।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সমাবেশ করার জন্য আমাদের জায়গা দেয়া হয় না। আজকের এই সমাবেশটি করার কথা ছিল গত বৃহস্পতিবার। সেদিন আমাদের এই সমাবেশ করতে দেয়া হয় নাই। আমরা এদেশ স্বাধীন করেছি কি এর জন্যই? প্রতিবাদ করতে পারবো না, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারবো না। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের সেই চরিত্র নয়। বাংলাদেশের মানুষ সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে, সবসময় সংগ্রাম করেছে, স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছে।

তিনি বলেন, আজকে দুপুরে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মামলার জামিন শুনানি রয়েছে। আমরা আশা করবো, প্রত্যাশা করবো যে, বিচার বিভাগ নিজেদের স্বাধীনতাকে রক্ষা করবেন এবং সত্যিকার অর্থে মামলার যে রায় হওয়া উচিত সেই রায় দিবেন। বেগম খালেদা জিয়াকে বেআইনিভাবে আটকে রাখা হয়েছে। তাই আসুন এই পরাধীন বাংলাদেশ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য অবৈধ দখলদার সরকারকে বাধ্য করি এদেশের মানুষের কথা শুনবার জন্য। দেশের মানুষের চোখের ভাষা বোঝার জন্য এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে দেশে একটি সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করার জন্য।

মির্জা ফখরুল বলেন, এ সরকারের কোন অধিকার নেই ক্ষমতায় থাকার। এখন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন দিলে দেশের রাজনৈতিক সংকটের সমাধান হবে বলে আমরা আশা করছি।

জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, শ্রমিক দলের কার্যকরী সভাপতি সালাউদ্দিন সরকার, শ্রমিক নেতা আবুল খায়ের খাজা, শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুল কবির মজুমদার, অর্থ সম্পাদক মো: রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com