শান্তি চুক্তি সইয়ের আগে যুক্তরাষ্ট্র-তালেবান ‘অস্ত্রবিরতি’
চূড়ান্ত শান্তি চুক্তি সইয়ের আগে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র, তালেবান ও আফগান সরকারি বাহিনীর মধ্যে এক সপ্তাহের ‘সহিংসতা হ্রাস তথা অস্ত্রবিরতি’ শুরু হয়েছে।
আলজাজিরা জানায়, টানা ১৮ বছরের যুদ্ধের ইতি টানার আশা জাগিয়ে শুক্রবার থেকে এই অস্ত্রবিরতি কার্যকর হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবান প্রতিনিধিদের মধ্যে চলমান শান্তি আলোচনায় এই ঐকমত্য হয়। যদি এই অস্ত্রবিরতি টেকসই হয় তাহলে শান্তি চুক্তি সইয়ের মাধ্যমে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পথ সুগম হবে।
এই অস্ত্রবিরতি শুক্রবার মধ্যরাত থেকে কার্যকর হবে বলে এক টেলিভিশন ভাষণে ঘোষণা দেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি।
এর আগে আফগান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হামদুল্লাহ মোহিবের মুখপাত্র জাভিদ ফায়সাল জানান, জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের মতো সশস্ত্র গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে স্বাভাবিক সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে।
একই দিন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, এই চুক্তি (অস্ত্রবিরতি) সফলভাবে বাস্তবায়ন হলে আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র তালেবানের সঙ্গে শান্তি চুক্তি সইয়ে অগ্রসর হবে।
পম্পেওর ঘোষণার পরপরই তালেবান মুখপাত্র জাবিহউল্লাহ মুজাহিদ এই অগ্রগতির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উভয় পক্ষই জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানাবে।
যুক্তরাষ্ট্রে টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার পর ২০০১ সালে আফগানিস্তানে অভিযান চালিয়ে তালেবানকে ক্ষমতাচ্যুত করে মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক বাহিনী।
ওই হামলার মূল সন্দেহভাজন ওসামা বিন লাদেনকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে না দেওয়ায় আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান চালায় যুক্তরাষ্ট্র। তালেবান আফগানিস্তানে অথবা নিরপেক্ষ তৃতীয় কোনো দেশে ওসামা বিন লাদেনের বিচারের প্রস্তাব দিলেও যুক্তরাষ্ট্র তা প্রত্যাখ্যান করে।