করোনা নিয়ন্ত্রণের উপায় নিয়ে উদ্বেগ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

0

করোনা ভাইরাস (সিভিড-১৯) মহামারি নিয়ন্ত্রণের উপায় সংকীর্ণ হয়ে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ড. টেডরোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস। চীনের সঙ্গে বা অন্য কোন স্থানের সংক্রমণের সঙ্গে এই ভাইরাসের সুস্পষ্ট যোগসূত্র না পাওয়ায় তিনি এমন উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এরই মধ্যে ইরানে আরো দু’জন এ ভাইরাস সংক্রমণে মারা গেছেন। এ নিয়ে সেখানে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪। এর প্রেক্ষিতেই ড. টেডরোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস বলেছেন, এই ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণের উপায়গুলো ক্রমেই সংকীর্ণ হয়ে আসছে। ওদিকে ইরানের স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তারা বলেছেন, এই ভাইরাস এরই মধ্যে ইরানের সব শহরে সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারে। মিডিয়ার তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত চীনের বাইরে ২৬টি দেশে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন কমপক্ষে ১১৫২ জন। মারা গেছেন আটজন।

এর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় মারা গেছেন দু’জন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে আরো বলা হয়েছে, শুক্রবার ইতালির ডাক্তাররা বলেছেন, সেখানে ৭৮ বছর বয়সী একজন পুরুষ মারা গেছেন। এটাই সেখানে এ ভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা। এদিন ইতালিতে আরো ১৬ জন আক্রান্ত হওয়ার কথা জানানো হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আক্রান্ত এলাকায় সব স্কুল, অফিস বন্ধ ঘোষণা করেছে। বাতিল করেছে খেলাধুলা বিষয়ক ইভেন্ট। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এই ভাইরাসে চীনে মারা গেছেন ২২৩৯ জন। এমন অবস্থায় ড. টেডরোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস বলেছেন, চীনের বাইরে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কম। কিন্তু যে ধারায় সংক্রমণ ঘটছে তা উদ্বেগের। তার ভাষায়, আক্রান্তের সংখ্যা দিয়ে আমরা মহামারির কোনো স্পষ্ট যোগসূত্র পাচ্ছি না। এতে উদ্বিগ্ন আমরা। ইরানে নতুন করে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগের।

ইরানে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে রাজধানী তেহরানের দক্ষিণে পবিত্র শহর কোম-এ। ওই শহরটি শিয়া মুসলিমদের কাছে জনপ্রিয়। এই শহরেই শুক্রবার মারা গেছেন দু’জন। এর আগে বৃহস্পতিবার মারা গেছেন দু’জন। সব মিলিয়ে সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ জন। কোম শহর থেকে বৈরুতে ফেরার পর ৪৫ বছর বয়সী একজন নারীর দেহে নিশ্চিত হওয়া গেছে করোনা ভাইরাস। এ ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইসরাইল ও মিশরেও এই ভাইরাস সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com