ব্রাজিলে আনচেলত্তির ৫ চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশ সময় শুক্রবার ভোর ৫টায় ইকুয়েডরের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ দিয়ে ব্রাজিলের কোচ হিসাবে অভিষেক হতে যাচ্ছে কার্লো আনচেলত্তির। ক্লাব ফুটবলের সফলতম কোচ এই প্রথম কোনো জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েছেন।
নতুন অধ্যায়ের শুরুতে আনচেলত্তির সামনে পাঁচ চ্যালেঞ্জ। ব্রাজিলে পা রেখেই ৬৫ বছর বয়সি ইতালিয়ান কোচ বলেছিলেন তার একমাত্র লক্ষ্য সেলেকাওদের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ ট্রফি এনে দেওয়া। সেজন্য সবার আগে ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করতে হবে ব্রাজিলকে।
১০ দলের লাতিন আমেরিকা অঞ্চল থেকে শীর্ষ ছয় দল সরাসরি খেলবে ২০২৬ বিশ্বকাপে। চার ম্যাচ বাকি থাকতে পয়েন্ট টেবিলের চারে আছে ব্রাজিল। এবারের আন্তর্জাতিক বিরতিতে ইকুয়েডর ও প্যারাগুয়ের বিপক্ষে জিতলে বিশ্বকাপের টিকিট পেয়ে যাবে আনচেলত্তির দল।
আনচেলত্তির দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ, বিশ্বমানের একজন সেন্টার ফরোয়ার্ড খুঁজে বের করা। ব্রাজিলের বর্তমান দলে রোনালদো বা রোমারিওর মতো কোনো গোলমেশিন নেই। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও রাফিনিয়া মূলত উইঙ্গার। প্রথাগত নাম্বার নাইন হিসাবে শুধু রিচার্লিসনকে খেলাতে পারেন আনচেলত্তি। রিচার্লিসন নিজের সেরা ছন্দে না থাকায় দ্রুত বিকল্প খুঁজে বের করতে হবে নতুন কোচকে।
সৃষ্টিশীল মিডফিল্ডারও খুঁজে নিতে হবে আনচেলত্তিকে। ব্রাজিলের পতনের অন্যতম কারণ মাঝমাঠে সৃষ্টিশীলতার ঘাটতি। রিয়াল মাদ্রিদে আনচেলত্তির ভরসা ছিলেন টনি ক্রুস ও লুকা মদরিচ। ব্রাজিল দলে এমন কেউ নেই। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার কাসেমিরোকে দিয়ে আপাতত কাজ চালাতে হবে আনচেলত্তিকে।
ব্রাজিলের নড়বড়ে রক্ষণকে চীনের প্রাচীর বানাতে কাফু ও রবার্তো কার্লোসের মানের ফুলব্যাকও লাগবে আনচেলত্তির। শেষ চ্যালেঞ্জ হলো, সুন্দর ফুটবল উপহার দিয়ে সমর্থকদের আস্থা পুনরুদ্ধার করা।