গোসলের সাত সতের

0

শীতের দিনে গরম পানি ছাড়া গোসলের চিন্তাই করা যায় না। এ সময় অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানিতে গোসলও ঠিক না। গরম পানিতে গোসল সাময়িক আরাম দিলেও এর ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। গোসলের নানা বিষয় জানিয়েছেন রূপবিশেষজ্ঞ আমিনা হক

শীতে পানির স্বাভাবিক তাপমাত্রা অনেক কমে যায়। এ কারণে গোসলের পানিতে গরম পানি মিশিয়ে নিলে আরাম হয়। তবে এ ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, গোসলের পানির তাপমাত্রা যেন শরীরের তাপমাত্রার সঙ্গে খুব বেশি পার্থক্য না হয়। তাই গোসলের জন্য হালকা কুসুম গরম পানি বেছে নিন। কুসুম গরম পানিতে গোসলের বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। কুসুম গরম পানি আমাদের মাংসপেশির জড়তা কাটিয়ে কর্মোদ্দীপনা জোগায়। গরম পানিতে ত্বকের লোমকূপ খুলে যায়। ফলে ত্বক পরিষ্কার হয় গভীর থেকে। এ ছাড়া গোসলের পর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে সেটা ত্বকে শুষে যায় বেশ ভালোভাবে। তবে মনে রাখতে হবে, স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি গরম পানি দিয়ে গোসল করলে ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। ত্বকে বলিরেখাসহ নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। শরীরে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করলেও মাথায় স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করতে হবে। গোসলের শুরুতে কিছুক্ষণ গরম পানি গায়ে ঢেলে কিংবা বাথটাবে কয়েক মিনিট শরীর ডুবিয়ে রাখুন। এরপর মাথায় শ্যাম্পু এবং গায়ে সাবান বা বডিওয়াশ লাগান। এ সময় শরীর তার স্বাভাবিক তাপমাত্রা ফিরে পাবে। শ্যাম্পু ও সাবান ধুয়ে ফেলতে কুসুম গরম পানির বদলে স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করুন।

মাথাসহ সারা শরীর স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। আধা ভেজা থাকতেই হাত-পা ও সারা শরীরে বডি লোশন বা ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন। তাহলে ত্বক রুক্ষ হবে না। ঠিকঠাক নিয়ম মেনে হট শাওয়ার নিলে শীতের সাধারণ সমস্যাগুলো মোকাবিলা করতে পারবেন সহজেই।

এ ছাড়া ক্রমাগত গরম পানিতে গোসল না করে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন স্বাভাবিক তাপমাত্রা অর্থাৎ শরীরের তাপমাত্রার চেয়ে কম ঠাণ্ড পানি দিয়ে গোসল করা নিরাপদ।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com