‘ক্ষমতায় যাওয়া নয়, দেশ, জাতি ও স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে নির্বাচন চাচ্ছে বিএনপি’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গতকাল (মঙ্গলবার) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। কিন্তু তিনি সেই ভাষণে নির্বাচনী রোডমাপের কথা বলেননি। আমরা হতাশ হয়েছি।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি ফ্যাসিস্ট সরকার এ জাতির ওপর নির্যাতন চালিয়েছে, হত্যা করেছে, গুম-খুন করেছে, এগুলো করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চেয়েছে। জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার বিপ্লব-অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে আমরা আবার গণতন্ত্রকে ফিরে পাওয়ার সুযোগ পেয়েছি। আমরা আশা করব, অন্তর্বর্তী সরকার, দ্রুত তারা ন্যূনতম সংস্কারগুলো করে একটা নির্বাচনের জন্য যেগুলো প্রয়োজন সেগুলো করে নির্বাচনের ঘোষণা দেবেন। ’
বুধবার (২৬ মার্চ) সকালে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
হতাশার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তিনি তার বক্তব্যের মধ্যে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীর উত্তমের নাম একবারও উচ্চারণ করেননি। অথচ তো এটাই ছিল ইতিহাস। আমরা চাই না, আওয়ামী লীগ যে ইতিহাস বিকৃত করেছে, এখন সেই ইতিহাসগুলো পড়ুক। প্রকৃত সত্যগুলাকে উদ্ঘাটন করে জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা গণতান্ত্রিক সরকার, সেই গণতান্ত্রিক সরকারে যত দ্রুত ফিরে যাওয়া যাবে, দেশের চলমান সমস্যাগুলো ততই দ্রুত সমাধান হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। ’
দল ও দলের প্রধানের পক্ষ থেকে জাতিকে স্বাধীনতার শুভেচ্ছা জানান মির্জা ফখরুল। একইসঙ্গে তিনি প্রত্যাশা করে বলেন, অতি শিগগিরই আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র ফিরে পাব।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে’, প্রধান উপদেষ্টার এমন কথায় নির্বাচনী রোডম্যাপ অস্পষ্ট। কোনো রোডম্যাপ দেওয়া হয়নি। আমরা বারবার বলে আসছি, স্পষ্ট রোডম্যাপ, দ্রুত নির্বাচন। তা না হলে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, সেগুলো কাটবে না।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচনের কথা বলছে না, বিএনপি জাতির স্বার্থে, জাতিকে রক্ষা করার স্বার্থে, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে রক্ষার স্বার্থে, বিএনপি নির্বাচনের কথা বলছে। নির্বাচিত পার্লামেন্ট এবং সরকারের কথা বলছে।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের যে কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ, তা এখন পর্যন্ত আমরা পুরোপুরি পাইনি। এর মধ্যে অনেক চড়াই-উৎরাই গেছে।
৭৫-এর ৭ নভেম্বর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্র ফিরে পেয়েছিলেন এবং ৯১ সালে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আবার গণতন্ত্রে ফিরে এসেছিলেন বলেও উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল।