আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে স্থগিত করা হলো জম্মু ও কাশ্মীরে পঞ্চায়েত নির্বাচন
মার্চে জম্মু ও কাশ্মীরে পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও, সেখানকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণ দেখিয়ে তা স্থগিত করা হয়েছে বলে জানান ভারতের মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা। ২০১৮ সালে শেষবার জম্মু ও কাশ্মীরে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়, তার কয়েকমাস আগেই সেখানকার শাসক মেহবুবা মুফতি ও বিজেপি সরকার ভেঙে পড়ে, এবং রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়। তারপর থেকে এখনও বিধানসভা ভোট হয়নি, এবং জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রের শাসনাধীন রয়েছে।
মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করে ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিডিপি এবং কংগ্রেসের নেতারা জানায়, শুধুমাত্র তাদের নেতানেত্রীদের ছাড়া হলে, তবেই ভোটে লড়তে প্রস্তুত তারা।
শেষবার সেখানে যে পঞ্চায়েত ভোট হয়েছিলো তা রাজনৈতিকভাবে হয়নি অভিযোগ তুলে বয়কট করেছি্লো এনসি এবং পিডিপি। নির্বাচনের সেবার থেকে ১২,০০০ এর বেশি আসন ফাঁকা পড়ে রয়েছে, সেগুলো এবার পূরণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি বিবৃতিতে জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা বলেন, যে, জম্মু ও কাশ্মীরের স্বরাষ্ট্র দফতরের পক্ষে তাদের “আইনরক্ষাকারী সংস্থাগুলির থেকে বিশ্বস্ত তথ্য নিয়ে ভোট বন্ধ করতে বিবেচনা করা উচিত” বলে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
অগস্ট মাসে জম্মু ও কাশ্মীরে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা বা ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে কেন্দ্রীয় সরকার, এবং রাজ্যটিকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয়, তখনই উপত্যকার গুরুত্বপূর্ণ নেতা মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লা, এবং তার বাবা ফারুক আবদুল্লা র মতো রাজনৈতিক নেতাদের আটক করে রাখা হয়।