এরদোগান- ট্রাম্পের ফোনালাপ
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান শনিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সর্বশেষ ও প্রধান ঘাঁটি ইদলিবের সঙ্কট বন্ধ করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন। উভয়ে আলোচনায় দামেস্কে হামলার নিন্দা করেছেন বলে জানিয়েছে তুর্কি প্রেসিডেন্টের কার্যালয়।
দুই প্রেসিডেন্ট ফোনে কথা বলার পরে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলা হয়, সম্প্রতি সিরিয়া সরকারের সর্বশেষ হামলা অগ্রহণযোগ্য। ইদলিবের সঙ্কট শেষ করার উপায় নিয়ে মতবিনিময় করেছেন এরদোগান ও ট্রাম্প। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ মস্কোর সমর্থনে ইদলিবে বিমান হামলা বাড়ানোর কারণে দেশটির পরিস্থিতি আরও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
জাতিসঙ্ঘের তথ্যানুযায়ী, ডিসেম্বরের পর থেকে বিমান হামলার কারণে কয়েক শ’ বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন এবং ৮ লাখ সিরীয় নাগরিক তাদের বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
সোচি শহরে হওয়া ২০১৮ সালের আঙ্কারা-মস্কো চুক্তির অংশ হিসেবে তুরস্কের ১২টি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। চলতি মাসে ইদলিবে সিরিয়ার সরকারের সামরিক বাহিনীর গুলিতে ১৪ জন তুর্কি সেনা নিহত হওয়ার পর সোচি চুক্তি অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে যদি সরকারি সামরিক বাহিনী ব্যারাকে ফিরে না যায় তবে দামেস্কে হামলার হুমকি দিয়েছেন এরদোগান।
সিরিয়াসহ একাধিক ইস্যু নিয়ে তুরস্ক ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের টানাপড়েন রয়েছে। তবে কার্যত দেখা যাচ্ছে যে আমেরিকানরা আঙ্কারা ও মস্কোর মধ্যে ইদলিব নিয়ে যে উত্তেজনা রয়েছে সেটিকে পুঁজি করার চেষ্টা করছে। সিরিয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত জেমস জেফরি এই সপ্তাহের প্রথম দিকে আঙ্কারায় এসেছিলেন এবং সিরিয়ার ইদলিবের জন্য আঙ্কারার ‘বৈধ’ স্বার্থের জন্য ওয়াশিংটনের অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন।
তবে শনিবারের আগে সিরিয়া নিয়ে মতের ভিন্নতার কারণে তুরস্ক-রাশিয়ার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে ‘প্রভাবিত’ করা উচিত নয় বলে জোর দিয়েছিলেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মওলুদ কাভুসোগলু।
ওয়াশিংটন দ্বারা সমালোচিত রাশিয়ান বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আঙ্কারার ক্রয়ের কথা উল্লেখ করে কাভুসোগলু বলেন, ইদলিবের পরিস্থিতি এস-৪০০ ক্রয়ের চুক্তিকে প্রভাবিত করবে না। এস-৪০০ চুক্তিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে তুরস্ককে আঘাত করার হুমকি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।