এফএটিএফ-এর কালো তালিকায় যাচ্ছে না পাকিস্তান, বিরোধিতা করবে ভারত
ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের (এফএটিএফ) সপ্তাহব্যাপী বার্ষিক সম্মেলন আজ প্যারিসে শুরু হচ্ছে,, চলবে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের ওপর নজর রাখা এই সংস্থার এবারের সম্মেলনের সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করছে, পাকিস্তান ধূসর তালিকা থেকে কালোতে যাবে, নাকি ধূসর দাগ থেকে মুক্তি মিলবে আর্থিক টালমাটালে থাকা দেশটির। ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, এফএটিএফ এবার পাকিস্তানের প্রতি অনেকটাই নমনীয়।
জঙ্গী সংগঠনকে মদদ দেয়ার অভিযোগে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে এফএটিএফ বৈঠকে পাকিস্তানকে ধুসর তালিকাভূক্ত করা হয়। এর আগেও ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান ধূসর তালিকায় ছিলো। এবারকার ধূসর তালিকা থেকে বের হয়ে আসতে কিছু শর্ত বেঁধে দেয় সংস্থাটি, যাতে মোট ২৭টি পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছিলো পাকিস্তানকে। এগুলোর মধ্যে ১৬টি পদক্ষেপ পাকিস্তান এরই মধ্যে বাস্তবায়ন করেছে।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি লস্কর-ই-তৈয়বার প্রধান হাফিজ সাঈদকে সাড়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন লাহোরের এক আদালত। লাহৌরের এক সন্ত্রাস বিরোধী আদালত। ২০০৮ সালে ভারতের মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার জন্যে হাফিজ সাঈদকে দায়ী মনে করা হয়।
পাকিস্তান এফএটিএফকে জানিয়েছে, জাতিসংঘের তালিকাভূক্ত ১৬ সন্ত্রাসবাদীর মধ্যে ৭ জন এরই মধ্যে মারা গেছে। বাকি ৯ জনের মধ্যে ৭ জন জাতিসংঘের কাছে আর্থিক ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আবেদন জানিয়েছে।
পরিস্থিতির আলোকে ভারতীয় বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পাকিস্তান এ যাত্রায় রেহাই পেয়ে যাবে। কালো তালিকায় যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে ধূসর তালিকা থেকে যাতে দেশটি বের হয়ে আসতে না পারে, সেজন্য জোরালো প্রয়াস চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।
পাকিস্তান এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, জইশ-ই-মোহাম্মদের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজহারের অবস্থান সম্পর্কে তাদের জানা নেই। জঙ্গীবাদের জন্য অভিযুক্ত মাসুদ সপরিবারে লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে গেছেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তান। এই ইস্যুটিকেই প্যারিস প্ল্যানারিতে সামনে আনতে চায় ভারত। পাকিস্তান যদি মাসুদ আজহারের সন্ধান দিতে না পারে, তাহলে ভারতই তার ঠিকানা জানিয়ে দেবে। ভারতীয় গোয়েন্দাদের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার লিখেছে, ইসলামাবাদ থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে রাওয়ালপিণ্ডির চকশাহজাদে রয়েছেন মাসুদ আজহার ও তার পরিবার। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইর মদদেই সুরক্ষিত এক স্থানে রয়েছেন বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়।