মুজিববর্ষে মোদীকে আমন্ত্রণ জাতির জন্য লজ্জাজনক: ভিপি নুর

0

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু আমাদের অনুপ্রেরণার নাম নয়, একটি আদর্শের নাম। এমন একজন মহান নেতার জন্ম-শতবার্ষিকীতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের মূল নায়ক নরেন্দ্র মোদীর মতো রাষ্ট্রপ্রধানকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জাতির জন্য লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেছেন ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য এলাকায় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহতদের স্মরণ এবং সীমান্ত হত্যা বন্ধের জন্য ২২ দিন ধরে অবস্থানরত ঢাবি শিক্ষার্থী নাসির আব্দুল্লাহর সঙ্গে সংহতি সমাবেশে এই দাবি করেন তিনি। 

তিনি বলেন, ‘ভারতের গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন উগ্র হিন্দুত্ববাদী দলের নেতা মোদী। ভারতের হিন্দু-মুসলিম দ্বন্দ্বের পেছনে তার অন্যতম ভুমিকা ছিলো। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশের তাকে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল। বর্তমানে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী। মুজিববর্ষে তাকে আমন্ত্রণ সরকার ভেবে দেখবেন বলে আমি আশাবাদী।’

নুর বলেন, ‘ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য নয় ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে এই রাজু ভাস্কর্য আমাদের ওপর হামলা হয়েছে।, বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে বাংলাদেশের স্বার্থে ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণেই পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’

ভিপি নুর আরও বলেন, ‘আমাদের দেশের সরকার ভারতকে বন্ধু দেশ বলে। ভারতের সঙ্গে পাঁচটি দেশের সীমান্ত সেই দেশগুলোর সীমান্তে হত্যাকাণ্ড ঘটছে না, অথচ আমাদের দেশের সীমান্তে পাখির মতো গুলিকরে মারছে ভারতীরা।’

‘ভারতের বিরুদ্ধে কথা বললে দেশি হুমকি নয়, বিদেশি হুমকিও আসে। আমি বলবো জীবনে একদিন মরতে হবে এতো ভয়ের কিছু নেই। কারণ ইতপূর্বে দশবার হামলার স্বীকার হয়েছি। আল্লাহ বাঁচালে কারো ক্ষমতা নেই মারার।’  

আবরার হত্যাকারীদের প্রসঙ্গ তুলে নুর বলেন, যখন কোনো ঘটনার প্রতিবাদ হয় সরকার পরিস্থিতিকে সামাল দেওয়ার জন্য ভিন্ন কিছু ব্যাবস্থা নেয়, পরক্ষণে যখন দেখা যায় অপরাধীরা সরকারি দলের তখন তাদেরকে পুরস্কৃত করে। যার প্রমাণ বুয়েটের আবরারকে হত্যার পর অপরাধীদের স্বল্প সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে ক্যাম্পাস থেকে বহিস্কার করেছে। সেই ছাত্রদের পূণরায় পরীক্ষার জন্য অনুমতি দিয়েছে। এটা হচ্ছে সরকারের এক ধরনের প্রতারণা। 

বিএসএফ’র হাতে নিহত ফেলানীর স্মরণে বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনের সড়কের নাম ফেলানী সড়ক হিসেবে ঘোষণা করতে হবে বলেও এ সময় দাবি জানান ভিপি নুরুল হক নুর।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, গণ-সাহিত্য আহ্বায়ক ফয়সাল আহমেদ, ছাত্র গণমঞ্চের নেতা সাইদ বিলাস, জাতীয়  গণতান্ত্রিক মঞ্চের নেতা এহতেশাম উদ্দিন, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল সম্পাদক ফয়জুল হাকিম, গণ-সংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি পারভেজ আহমেদ লেলিন, ছাত্র ফেডারেশনের নেতা গোলাম মোস্তফা, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলন নেতা অতিফ অনিক, মুক্তি ফোরামের নেতা অনুপম দেবাশীষ রয়, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের সভাপতি মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com