শান্তিপূর্ণভাবে সিএএ-র বিরোধিতা করলে দেশদ্রোহী বলা যায় না: ভারতের হাইকোর্ট
মুম্বাই হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ‘নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে কেউ কোনও প্রশ্ন তুলতে পারবে না, এমন তো হতে পারে না। যারা শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিবাদ করছেন, তাদের স্বার্থরক্ষাও আদালতের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।’
আদালত আরও বলে, ‘আমাদের ভুললে চলবে না যে অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমেই এই দেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।’
হাইকোর্টের মতে এটা দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে এখনও এই দেশের মানুষকে তাদের নিজেদের সরকারের বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ করতে হয়। কেউ শান্তিপূর্ণ ভাবে কোনও আইনের বিরোধিতা করলেই তাকে বিশ্বাসঘাতক বা দেশদ্রোহী বলা যায় না। জানিয়ে দিল বম্বে হাইকোর্টের অওরঙ্গাবাদ বেঞ্চ। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের অবস্থান বিক্ষোভে পুলিশি হস্তক্ষেপ খারিজ হয়ে যায়ওয়াকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা করা হয়। তার প্রেক্ষিতেই এই মতামত জানান হাইকোর্ট।
মুম্বাই হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ‘নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে কেউ কোনও প্রশ্ন তুলতে পারবে না, এমন তো হতে পারে না। যারা শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিবাদ করছেন, তাদের স্বার্থরক্ষাও আদালতের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এই আদালত জানিয়ে দিতে চায় যে কেউ কোনও আইনের বিরোধিতা করলেই তাকে দেশদ্রোহী বা বিশ্বাসঘাতক বলা যায় না।’
আদালত আরও বলে, ‘আমাদের ভুললে চলবে না যে অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমেই এই দেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। আমরা ভাগ্যবান যে এই এখনও পর্যন্ত এই দেশের বেশিরভাগ মানুষ অহিংস আন্দোলনে বিশ্বাসী।’
মুম্বাই হাইকোর্টের মতে, এটা দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে এখনও এই দেশের মানুষকে তাদের নিজেদের সরকারের বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ করতে হয়। এই ক্ষেত্রে আদালত কার ন্যূনতম অধিকার হরণ করা হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখবে।