করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১৪৮৩জন
করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মৃত্যুর মিছিল থামছেই না। বৃহস্পতিবার ভাইরাসটির আঁতুড়ঘর হুবেইপ্রদেশেই ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারান ২৪২ জন। চীনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় এক হাজার ৩৫৫ জন। সেই মৃতের সংখ্যায় শুক্রবার যুক্ত হয়েছে আরো ১১৬ জন।
সব মিলিয়ে করোনাভাইরাসে এ নিয়ে পুরো বিশ্বে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৮৩ জনে।
শুক্রবার হুবেই স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার হুবেইপ্রদেশে মারা গেছেন ১১৬ জন। নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আরও চার হাজার ৮২৩ জন। শুধু হুবেইতেই আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫১ হাজার ৯৮৬ জনে।
ভাইরাসটি যাতে ছড়িয়ে না যায়, সে জন্য চীন হুবেইপ্রদেশকে পুরো দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। ওই অঞ্চলের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে চীনসহ বাইরের বিশ্বের।
এদিকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন যে পরিমাণ আক্রান্তের খবর আসছে, তাতে আক্রান্তের আসল খবর জানা যাচ্ছে না।
কারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে, শুধু তাদের হিসাব পরিসংখ্যানে ধরা হচ্ছে। তাই এর প্রকৃত হিসাব বের করা বা জানা খুবই কঠিন ব্যাপার, যা আরেকটি আশঙ্কার কারণ।
চীনের সব প্রদেশসহ বিশ্বের ২৬ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। চীনের বাইরে এ পর্যন্ত ৫২৪ জন আক্রান্ত শনাক্ত করা হয়েছে।
হংকং, ফিলিপাইন ও জাপানে একজন করে মোট দুজন মারা গেছেন। চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে জাপান।
জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে নোঙর করা ডায়মন্ড প্রিন্সেস নামক প্রমোদতরীতে এখন পর্যন্ত ১৭৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে শনাক্ত করা হয়েছে। তিন হাজার ৭০০ যাত্রী নিয়ে বিলাসবহুল ওই প্রমোদতরীটি এখন কোয়ারেন্টাইনে।
সর্বোচ্চ আক্রান্তের তালিকায় জাপানের পরেই রয়েছে সিঙ্গাপুর। যেখানে ৪৭ জনের মতো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৪ জন বাংলাদেশি বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) জানায়, সিঙ্গাপুরে আগের দুই বাংলাদেশিসহ মোট ৪ বাংলাদেশি নাগরিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
এই দুই রোগীর সংস্পর্শে ছিলেন এমন ১৯ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রেখেছে সিঙ্গাপুর সরকার। এর মধ্যে ১০ জনই বাংলাদেশি।