কীভাবে বিদেশি নাগরিক বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হন, প্রশ্ন বিএনপি নেতা রিপনের
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হতে হলে তাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হয়। বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সিংঙ্গাপুরের নাগরিক। আমরা শুনেছি তিনি বার্বাডোসেরও নাগরিক হয়েছেন। অন্য দেশের নাগরিক কীভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হয়?
বুধবার (২৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে আয়োজিত আলোচনা তিনি এসব কথা বলেন।
ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘বাংলাদেশে কেউ রাষ্ট্রপতি হতে হলে তাকে এ দেশের নাগরিক হতে হয়। মো. সাহাবুদ্দিন সিংঙ্গাপুরের নাগরিক। এসব জায়গায় নাগরিক হতে হলে অনেক টাকা লাগে। এসব টাকা কীভাবে পেলেন? মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে ছাড়া এসব টাকা নেওয়া যাবে না।’
তিনি বলেন, অন্য দেশের নাগরিক বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি– একমাত্র বাংলাদেশেই এমন অদ্ভুত বিষয় দেখা যায়। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এর জন্য মো. সাহাবুদ্দিনের শাস্তি হওয়া উচিত।’
তিনি বলেন, ‘মো. সাহাবুদ্দিন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। তাকে কেন বানানো হয়েছিল, কারণ পদ্মা সেতুতে একটা বড় দুর্নীতি হয়েছে। এটা ওয়ার্ল্ড ব্যাংক মনে করে, আমরাও মনে করি। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক যখন তদন্তে আসে, এটা জেনেই মো. সাহাবুদ্দিনকে ওখানে বসিয়ে দিলেন শেখ হাসিনা। এরপর সেই মেয়াদ শেষ হলে তাকে ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান করলেন। এরপর সবাই আশ্চর্য হয়ে গেলেন। তিনি নাকি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। এটা কিন্তু কেউ জানেন না। ওবায়দুল কাদেরও জানতেন না।’
রিপন বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যেকোনও সময় পদত্যাগ করবেন। তার পদত্যাগ করা উচিত। তার রাষ্ট্রপতি হওয়ার যোগ্যতা নেই। তিনি আপাদমস্তক একটা দুর্নীতিবাজ লোক।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘একটা ডামি সরকার পদত্যাগ করবে কি করবে না এটা নিয়ে এত আলোচনার কী আছে? তিনি (শেখ হাসিনা) তো মানুষের ভোটে নির্বাচিত হননি। বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছেন বলেই তিনি পদত্যাগ করেছেন। তিনি মানুষের ভোটে নির্বাচিত ছিলেন না। তাই তিনি পদত্যাগ করলেন কি করলেন না সেটা নিয়ে আলোচনার কিছু নাই।’
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি তিন বাহিনীর প্রধানকে পেছনে রেখে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। তাকে পদত্যাগপত্র দেওয়া হয়েছিল। সেখানে হয়ত এটাই লেখা ছিল যে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। তাই তিনি দিয়েছেন। এখন আড়াই মাস পর এসে বলেন, পদত্যাগপত্র পাননি তিনি। এরমধ্যে কোনও উদ্দেশ্য আছে।’
জিয়া প্রজন্ম দলের উপদেষ্টা ও ইতালি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমিনুর রহমান সালামের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে সংবর্ধনা ও সাংবাদিকতার বিকাশে জিয়াউর রহমানের অবদান বিষয়ে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে জিয়া প্রজন্ম দল।