আওয়ামী সুবিধাভোগী ব্যবসায়ীরা এখনো বহাল তবিয়তে সিন্ডিকেটবাজি করে যাচ্ছে: রিজভী

0

আওয়ামী সুবিধাভোগী ব্যবসায়ীরা এখনো বহাল তবিয়তে সিন্ডিকেটবাজি করে যাচ্ছে জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য শুধু অনভিপ্রেত নয়, এটা একটি গভীর মাস্টারপ্ল্যানের অংশ। দেশ নিয়ে চক্রান্ত থেমে নেই। এ ছাড়াও সালমান এফ রহমানের ন্যায় বড় সাপের থেকেও বিষধর ছোট সাপ তথা আওয়ামী সুবিধাভোগী ব্যবসায়ীরা এখনো বহাল তবিয়তে সিন্ডিকেটবাজি করে যাচ্ছে। এদের সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর গোড়ানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দেশ নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র চক্রান্ত চলছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, চক্রান্ত ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নেই। অনেক ষড়যন্ত্র চক্রান্ত চলছে। এইবারের দুর্গাপূজায় কোথাও কি অশান্তি হয়েছে? কোনো অশান্তি হয়নি। এখানে বিএনপি এবং তার অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পাহারা দিয়েছে। এমনকি আমাদের দেশের মাওলানা যারা হুজুর তারা পর্যন্ত পূজামণ্ডপ পাহারা দিয়েছে। এই দেশে হিন্দু মুসলমান যারা যুগ যুগ ধরে তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালন করছে হাজার বছর ধরে।কিন্তু খুব চক্রান্ত আমরা দেখি। এক শেখ হাসিনা এবং শেখ হাসিনাকে যারা আশ্রয় দিয়েছে তারা অপেক্ষায় থাকেন কি করে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে তাদের নিরাপত্তা নেই এই কথাটি বলা যায়।

রিজভী বলেন, সাতক্ষীরার একটি মন্দিরে দুপুর আড়াইটার সময় একটি পূজামণ্ডপ থেকে মুকুট কে জানি চুরি করেছ।এখানে তো বক্তব্য আছে। ঠিক আড়াইটার দিকে ওই মন্দিরের যিনি প্রধান পুরোহিত এবং আরও যারা কর্মকর্তারা ছিলেন তারা হঠাৎ করে উঠে গিয়েছিলেন কিন্তু কেনো? এটাতো বড় প্রশ্ন। এরপরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটা প্রতিবাদ জানাবেন যে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে আমরা সংশয়ে আছি। বাংলাদেশের কোনো মন্দিরে কোনো পূজামণ্ডপে একটি গাছের পাতাও পড়েনি। আর আপনি ভারত সেই দিল্লি থেকে বলে দিলেন সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সংশয়ের কথা। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য শুধু অনভিপ্রেত নয়, এটা একটি গভীর মাস্টারপ্ল্যানের অংশ।

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের উদ্দেশ্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব আরও বলেন, এতো সুন্দর একটি পূজা উৎসব হয়ে গেল তারপরও আপনারা বলেছেন সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে আপনারা উদ্বিগ্ন। আমি ভারতের নীতির নির্ধারকদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই আপনার পশ্চিমবাংলার বর্ধমান একটি জেলা ওটাও আরেকটি বাংলা যেটা ভারতের মধ্যে সেইখানেও এই রকম একটা ঘটনা হয়েছে মুকুট চুরি কই সেই বিষয়ে তো দিল্লির নীতিনির্ধারকরা কোনো কথা বললেন না। ওখানকার পররাষ্ট্র দপ্তর তো একটা বিবৃতি দিলেন না। আপনাদের উদ্দেশ্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা আপনাদের পদতলে রাখতে চান। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে আপনারা নিয়ন্ত্রণ করে রাখতে চান। যেমন আপনারা শেখ হাসিনার মাধ্যমে রেখেছিলেন। সেইটা হাতছাড়া হয়ে গেছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আপনারা সতর্ক থাকুন। ভয়ংকর, ভয়ংকর ষড়যন্ত্র চক্রান্ত হবে। শেখ হাসিনা বসে নেই। ভিডিওতে তার বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে তিনি বলেছেন আমি বাংলাদেশের কাছেই আছি। গোপালগঞ্জে যদি কেউ কিছু করতে আসে তাহলে তার হাত গুড়িয়ে দাও। তার কথার মধ্যে কিন্তু শান্তির কথা নেই, স্বস্তির কথা নেই। তিনি যে এত শিশু-কিশোর বাচ্চাদের হত্যা করলেন তারপরও তার মধ্যে কিন্তু কোনো অনুশোচনা নেই। এখনো তার মনের মধ্যে দখলদারিত্বের মনোভাব। এই ধরনের একজন ঘাতক মহিলাকে আশ্রয় দিয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ।

মন্থর গতিতে চলতে থাকা স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ডেঙ্গু প্রতিরোধে পর্যাপ্ত প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবারহ করতে চূড়ান্ত ব্যর্থ বলেও মন্তব্য করেন রিজভী।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com