সিরীয় হামলায় ৫ তুর্কি সেনা নিহতের পর ইদলিবে ব্যাপক হামলা তুরস্কের
সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সরকারি বাহিনীর হামলায় পাঁচ সেনা নিহতের পর সেখানে পাল্টা হামলা চালিয়েছে তুরস্ক। দেশটির প্রতিরা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এক শ’রও বেশি ‘শত্রু স্থাপনা’ নিরস্ত্রীকরণ করা হয়েছে। তবে এতে হতাহতের পরিমাণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
সম্প্রতি রুশ যুদ্ধবিমানের সহায়তায় ইদলিবে অভিযান জোরালো করেছে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী। এই অভিযানের কারণে অঞ্চলটি ছেড়ে হাজার হাজার শরণার্থী পালাচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘ। নতুন করে শরণার্থী সঙ্কটের আশঙ্কায় গত সপ্তাহে সিরীয় সীমান্তে ট্যাংক এবং সাঁজোয়া যানসহ অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করে তুরস্ক।
এর পরদিন সিরীয় বাহিনীর হামলায় কয়েকজন সেনা নিহতের জবাবে পাল্টা হামলা চালায় আঙ্কারা। গত সোমবার ওই অঞ্চলে আবারো তুর্কি বাহিনীর ওপর হামলা চালানো হলে পাঁচ সেনা নিহত হয়। আহত হয় আরো পাঁচজন।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের যোগাযোগ পরিচালক ফাহরেত্তিন আলতুন এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘আজ ইদলিবে একটি ঘৃণ্য হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেখানে আমাদের সেনাবাহিনী কাজ করছে, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী আমাদের অধিকার রক্ষা করছে’।
তিনি বলেন, ‘ওই হামলার জবাবে তুরস্ক শত্রুর সব স্থাপনা ধ্বংস করেছে এবং সেনা সদস্যদের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিয়েছে। আজকের ঘৃণ্য হামলার নির্দেশদাতা যুদ্ধাপরাধী কেবল তুরস্ককে নয় পুরো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে’।
এ দিকে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মওলুদ কাভুসোগলু বলেছেন, ‘কাপুরুষদের জবাব দিয়েছে’ আঙ্কারা। তিনি বলেন, ‘আমাদের মহান সেনাবাহিনী প্রয়োজনীয় সব কিছু করা অব্যাহত রাখবে।’
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরুর পর প্রায় তিন লাখ ৮০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আর দেশ ছেড়ে পালিয়েছে দেশটির জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। এদের বেশির ভাগই আশ্রয় নিয়েছে প্রতিবেশী তুরস্কের বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে।
৫ তুর্কি সেনা নিহত
সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইদলিব প্রদেশে সরকারি বাহিনীর হামলায় তুরস্কের পাঁচ সেনা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও পাঁচজন। গত সোমবার এক বিবৃতিতে তুর্কি সেনা হতাহতের খবর নিশ্চিত করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত একমাত্র প্রদেশ ইদলিবের পূর্বাঞ্চলে তাফতানজ বিমানবন্দরে তুরস্কের সামরিক ঘাঁটিতে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বাহিনীর কামানের আঘাতে ১০ তুর্কি সেনারা হতাহত হয়। এ ছাড়া গত সপ্তাহেও ইদলিবে সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর হামলায় সাত তুর্কি সেনা প্রাণ হারিয়েছিল। সেই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে সিরিয়ার ৫০টি স্থানে হামলা চালিয়ে ৭৬ সিরীয় সেনা হত্যার দাবি করে আঙ্কারা।
সিরিয়ার ইদলিবে তুর্কি সেনাদের ওপর ওই হামলার পর জরুরিভিত্তিতে প্রতিরামন্ত্রী হুলুসি আকারের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান।
এ দিকে প্রেসিডেন্ট এরদোগান জানিয়ে দিয়েছেন, কোনোভাবেই বাশারের বাহিনী ইদলিবের নিয়ন্ত্রণ যেন নিতে না পারে সে ব্যাপারে তিনি পদক্ষেপ নেবেন।