মমতার রেলপ্রকল্পে মোদীর বরাদ্দ মাত্র এক হাজার টাকা
বরাবরই ভারতের কেন্দ্রীয় বাজেটে বঞ্চনার অভিযোগে সরব থাকে পশ্চিমবঙ্গ৷ এর মূল কারণ, কেন্দ্র-রাজ্যের রাজনৈতিক বিরোধ এবং দুই সরকারের মধ্যে টানাপোড়েন৷ এবারের বাজেটেও তার কোন ব্যাতিক্রম হয়নি। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণের পেশকৃত বাজেটে এবারও বঞ্চনার শিকার হয়েছে মমতার এই রাজ্য।
আলাদা করে পশ্চিমবঙ্গের জন্য উল্লেখযোগ্য কোনও বরাদ্দ রাখা হয়নি এই বাজেটে ৷ উল্টো পৃথক রেল বাজেট বন্ধ করে দিয়েছে মোদী সরকার৷ আশ্চর্যজনকভাবে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেসব রেল প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন, সেগুলোর জন্য মাত্র এক হাজার টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকী, মমতার স্বপ্নের রেল কারখানাগুলোর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে মাত্র এক লাখ টাকা৷ এছাড়া বহু প্রকল্পের উল্লেখও নেই বাজেট-পত্রে৷ স্বাভাবিক ভাবেই ওই সমস্ত প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে৷
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদরা বলছেন, এবার বাজেটে বাংলার সমস্ত রেল প্রকল্পগুলোর গলা টিপে ধরা হয়েছে৷ মমতা ব্যানার্জির কোনো একটি প্রকল্পও যাতে সম্পূর্ণ না হয়, সেই চেষ্টা চালাচ্ছে মোদী সরকার৷ তাদের অভিযোগ, মূলত রাজনৈতিক শত্রæতার কারণেই বাংলার প্রতি বঞ্চনা করা হচ্ছে৷ অধিকাংশ মেট্রো প্রকল্প থমকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷
জানা গেছে, রেলমন্ত্রী থাকাকালীন নতুন রেলপথ তৈরি এবং ডাবলিংয়ের মতো একগুচ্ছ প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন মমতা৷ কোচ ফ্যাক্টরি গড়ার ঘোষণাও দিয়েছিলেন৷ এবারের বাজেটে পশ্চিমবঙ্গের দীঘা-জলেশ্বর, কালিয়াগঞ্জ-বুনিয়াদপুরের মতো রেল প্রকল্পে এবার মাত্র এক হাজার টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছে৷ ভাগীরথী নদীর উপর রেলসেতু সহ আজিমগঞ্জ-মুর্শিদাবাদ (জিয়াগঞ্জ) এবং হাসনাবাদ-হিঙ্গলগঞ্জ নতুন লাইন, ঘুঁটিয়ারি শরিফ-ক্যানিং ডবল লাইন, নিউ আলিপুর-আক্রা ও বজবজ-পূজালি ডবল লাইনের জন্যেও বরাদ্দ হয়েছে এক হাজার টাকা৷ একইসঙ্গে মমতার ঘোষিত কাঁচরাপাড়া রেল কোচ ফ্যাক্টরির জন্য বরাদ্দ হয়েছে মাত্র এক লাখ টাকা৷ কাঁচরাপাড়া রেল ওয়ার্কশপের জন্য বরাদ্দ হয়েছে পাঁচ লাখ টাকা৷ দুটি ক্ষেত্রেই বরাদ্দ গতবারের থেকে কম৷ ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পে এবার বরাদ্দ মাত্র ৯০৫ কোটি টাকা৷ যা অত্যন্ত কম বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।