উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২২
উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাতে এই হামলা করেছে তারা। মৃতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় শনিবার জাবালিয়ার কাছাকাছি এলাকার বাসিন্দাদের দক্ষিণে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সামরিক বাহিনী। কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এই খবর জানিয়েছে।
এক সপ্তাহ আগে, জাবালিয়ায় একটি তীব্র হামলা শুরু করেছিল সামরিক বাহিনী। তারা দাবি করেছিল, সেখানে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস পুনরায় সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। তা রুখতেই এই হামলা করা হয়।
আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস জানিয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর এই হামলায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বেসামরিক আটকা পড়েছেন।
ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা শনিবার জানিয়েছে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান শুক্রবার রাতে জাবালিয়ায় একটি বহুতল অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে বোমাবর্ষণ করেছে। চারটি আবাসিক ভবনে হামলায়২২ জন নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছে অন্তত ৩০ জন। আরও ‘৪ জন নিখোঁজ। ধারণা করা হচ্ছে, তারা ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়েছেন।
মধ্য গাজার দেইর এল-বালাহ থেকে আল জাজিরার রিপোর্টার হানি মাহমুদ বলেছেন, ‘গাজা উপত্যকার উত্তরে শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।’
তিনি আরও জানান, অনেক হতাহত ব্যক্তি বিস্ফোরণে ‘ছিন্নভিন্নবা রক্তাক্ত হয়ে হাসপাতালে পৌঁছেছিলেন।’
উত্তরে কামাল আদওয়ান হাসপাতালের জ্বালানি প্রায় ফুরিয়ে গেছে। কর্মীরা বলেছেন, ইসরায়েলি সেনারা তাদের চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
সেখান থেকে আল জাজিরার মোয়াথ আল-কাহলুত সপ্তাহব্যাপী এই অবরোধকে ‘শ্বাসরোধকারী’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, পরিস্থিতি ভয়াবহ।’ কেননা, হাসপাতালটিকেও অপারেশন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
তবে হাসপাতালটি গুরুতর আহত থেকে শুরু করে নবজাতক রোগী পর্যন্ত সবাইকে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।