যত দ্রুত সম্ভব দেশের প্রশাসনকে সংস্কার করে নির্বাচনের উপযোগী করতে হবে: মির্জা ফখরুল

0

দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের তাগিদ দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব দেশের প্রশাসনকে সংস্কার করে নির্বাচনের উপযোগী করতে হবে।

সংস্কার আমরাও চাই। যত দ্রুত নির্বাচন করা যাবে ততই দেশের জন্য কল্যাণকর হবে। নির্বাচনের যৌক্তিক সময় আমরা দেব। কোনরকম টালবাহানা আমরা সহ্য করবো না।

গতকাল শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গাজীপুরের কাপাসিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহর অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফখরুল এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র বিশ্বাস করে। অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে সংসদীয় সরকার গঠন করতে হবে, সেই সরকার দেশ শাসন করবে।

তিনি বলেন, অবিলম্বে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তাকে দেশে ফেরানোর জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাই। দলের সবার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে, এটাই আমাদের দাবি। মামলা প্রত্যাহার করে গণতন্ত্রকে সংহত করার দাবি জানাই।

বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না হলে কখনো একটি গ্রহণযোগ্য নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে না বলে মন্তব্য করেন ফখরুল।

তিনি আরও বলেন, গেল ১৭ বছরের বিএনপির প্রায় এক হাজার লোককে গুম করে হত্যা করা হয়েছে। ৬০ লক্ষ মানুষের ওপর মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের অত্যাচারে বিএনপি নেতারা ঘুমাতে পারতেন না। এখনো আওয়ামী লীগ বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে। সামনে দুর্গাপূজা আসছে , এই দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে তারা দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে পারে।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, আমরা বলতে চাই, আপনারা বাংলাদেশের নাগরিক। আমরা সবসময় আপনাদের পাশে আছি। বাংলাদেশের সমস্ত মানুষ আপনাদের পাশে দাঁড়াবে এবং আপনাদের পূজা যেন নির্বিঘ্নে হয় সে ব্যাপারে সচেষ্ট থাকবে।

পোশাকশিল্পকে অস্থিতিশীল করার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন, তবে তার লোকজন এখনো পোশাকশিল্প অস্থিতিশীল করছে।

ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ আমলে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে তারা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করে রেখেছিল। তারা দুর্নীতির নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছিল। শেখ হাসিনা ধরে নিয়েছিলেন, তিনি সারাজীবন ক্ষমতায় থাকবেন। এভাবে মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করবেন এবং সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলবেন।

হান্নান শাহ স্মৃতি সংসদের আয়োজনে জেলা বিএনপির সভাপতি একেএম ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নান রিয়াজ, হুমায়ূন কবীর খান, মজিবুর রহমান, শওকত হোসেন সরকারসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com