প্রেসব্রিফিং —

0

মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২০ রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয়কার্যালয়ে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ এর প্রেসব্রিফিং বক্তব্য।

সুপ্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা,
আসসালামু আলাইকুম। সবাইকে জানাচ্ছি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা।
দেশে চারদিকে লুটপাটের মহামারী চলছে। সরকারের লোকজন যে যেভাবে পারছে বেপরোয়াভাবে লুটে নিচ্ছে জনগণের অর্থ সম্পদ। দেশের মানুষ ফৌত হয়ে গেছে। আওয়ামী লুটপাটের বড় খাত কেবল শেয়ার বাজারে সীমাবদ্ধ নেই। ব্যাংকগুলো একটির পর একটি দেউলিয়া করার পর এখন জনগণের পকেট কাটতে সরকার একটির পর একটি নতুন ব্যাংক অনুমোদন দিচ্ছে। ব্যাংকে ব্যাংকে সয়লাব এখন দেশ।

রবিবারও আওয়ামী লীগের এক নেতার নামে অনুমোদন দেয়া হয়েছে বেঙ্গল কমার্শিয়াল নামে একটি ব্যাংকের। এই ব্যাংকগুলো করা হচ্ছে জনগণের পকেট কাটার জন্য। একদিকে যেমন ঋণ নিয়ে চলছে সরকার, পাশাপাশি বিভিন্ন স্বায়ত্বশাসিত এবং সেক্টর কর্পোরেশনের উদ্বৃত্ত অর্থ তুলে নিয়ে যাচ্ছে সরকার জোর করে। এর পাশাপাশি শুরু হয়েছে ব্যাংক নিয়ে নতুন খেলা। অর্থ সম্পদ গচ্ছিত রাখার ব্যাংক এখন রীতিমত আতংকে পরিণত হচ্ছে। অন্যদিকে নতুন করে আইন বানানো হচ্ছে-কোনো ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে গেলে আমানতকারীর যত আমানতই থাকুক না কেনো, মাত্র ১ লক্ষ টাকা বীমার টাকা দেয়া হবে।

সুহৃদ সাংবাদিকবৃন্দ,
একদিকে ক্ষমতাসীন দলের ব্যবসায়ীরা উপর মহলের সহযোগিতায় ব্যাংক খুলে বসে আছে-জনগণ টাকা জমা দিলে সেগুলো মেরে খাচ্ছে সরকার এবং ব্যাংকের মালিকরা। আর ব্যাংক বন্ধ করে দিলে গ্রাহকের শত কোটি টাকার ব্যালেন্স থাকলেও তাকে বীমার ১ লক্ষ টাকা দিয়ে বিদায় করে দেয়া হবে! কি ভয়ংকর অবস্থা! এটাতো রীতিমত রাক্ষসরাজ্যে পরিণত করা হয়েছে দেশকে। ফলে জনগণের মধ্যে এখন এমন ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে যে, নতুন এবং সন্দেহজনক ব্যাংক থেকে তারা আমানত তুলে ফেলতে শুরু করেছে।

আপনারা জানেন, রাজনৈতিক স্টান্ডবাজি করতে গিয়ে এই নিশিরাতের লুটেরা সরকার যে বিশাল বাজেট তৈরী করেছিল, তার জন্য অর্থের সংস্থান করতে পারছে না। আমদানি-রফতানি মুখ থুবড়ে পড়েছে, রাজস্ব আয় কম হচ্ছে, সঞ্চয়পত্র থেকে আয় চলে এসেছে নগণ্য পর্যায়ে, ফলে সরকার চলছে ব্যাংক থেকে টাকা ধার করে। এবছর বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা। অথচ অর্থবছরের ছয় মাসের মধ্যেই সেই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া হয়েছে ৫১ হাজার ৭৪১ কোটি টাকা। অর্থাৎ বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা থেকে ইতোমধ্যে ৪ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা বেশি ঋণ নিয়ে ফেলেছে সরকার। বাকী ৬ মাসে কি অবস্থা হবে তা সহজেই অনুমেয়। ১০ বছরে ব্যাংকের কাছে সরকারের নিট ঋণ প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা। এই টাকা আর পরিশোধ করবে না সরকার।

একদিকে যেমন ঋণ নিয়ে চলছে সরকার, পাশাপাশি বিভিন্ন স্বায়ত্বশাসিত এবং সেক্টর কর্পোরেশনের উদ্বৃত্ত অর্থ তুলে নিয়ে যাচ্ছে সরকার জোর করে। এর সাথে শুরু হয়েছে ব্যাংক নিয়ে নতুন খেলা। প্রথমত:, জনগণের টাকা আমানত তুলে সেই অর্থ থেকে ব্যাংকের মালিকরা ঋণ হিসাবে টাকা নিয়ে আর শোধ করে না, অথবা খেলাপী ঋণ করে মেরে দেয় টাকা। এরূপ ২ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ নিয়ে বসে আছে ব্যাংকের পরিচালকরা। ১ লক্ষ ১৬ হাজার কোটি টাকার খেলাপী ঋণের হিসাব সংসদে দিলেও বাস্তবে খেলাপী ঋণ এর দ্বিগুণ। এর উপর নতুন করে লুটপাট করতে আরও তিনটি ব্যাংকের অনুমতি দিচ্ছে সরকার, এর মধ্যে একটি দেয়া হয়ে গেছে। পাশাপাশি চারটি ব্যাংককে পুঁজিবাজারে নামানো হচ্ছে নতুন করে জনগণের পকেট কাটতে।

শেখ হাসিনা সরকারেরই কিছুদিন পূর্বের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছিলেন-‘দেশের অর্থনীতি আকারের তুলনায় বর্তমানে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেশী। এরপরও রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংক অনুমোদনে সুপারিশ করতে বাধ্য হয়েছে। এভাবে নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দেয়ায় আমি ভেরি আনহ্যাপী।’ বন্ধুরা, আমার বক্তব্য হচ্ছে-তিনি আনহ্যাপী হলেও কার নির্দেশে ব্যাংক অনুমোদনের সুপারিশ করেছিলেন ? নিশ্চয়ই তাঁর চেয়েও শক্তিধর ব্যক্তি যাঁর নির্দেশ তাঁকে মানতে হয়।

সচেতন বন্ধুরা,
বাংলাদেশে এখন সরকারের রাঘব বোয়ালদের জন্য লুটপাটের সব অর্গল উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। যে যেভাবে পারছে লুটে নিচ্ছে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় সম্পাদক নঈম নিজামের একটি নিবন্ধ পড়লাম। যেখানে লুটপাটের একটি লোমহর্ষক চিত্র তুলে ধরেছেন। একজন ব্যবসায়ী এমপি ২০ কোটি টাকার ঋণের জন্য কোন এক ব্যাংকে চেয়ারম্যানের সাথে বৈঠক করেন। এরপর একজন ব্যাংক কর্মকর্তা সেই এমপি’র নিকট উপস্থিত হয়ে তাকে ২০ কোটির বদলে ২০০ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার জন্য পীড়াপীড়ি করে। যদিও এমপি সাহেব বলেন, ২০ কোটির জন্য আমার কাগজপত্র প্রস্তুত আছে, কিন্তু ২০০ কোটি টাকা নেয়া সম্ভব নয়। কিন্তু ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, আমরা সব ব্যবস্থা করে দিবো, শুধু আমাদের দশ শতাংশ টাকা দিলেই হবে। এই টাকা সরাসরি হংকংয়ে চলে যাবে। বন্ধুরা, এটি একটি ভয়ঙ্কর অর্থনৈতিক নৈরাজ্যেরই ছবি, যা বিদ্যমান চরম রাজনৈতিক অসুস্থতা থেকে উৎসারিত।

দুদক নামের দলকানা এক প্রতিষ্ঠান আছে তারা হারিকেন দিয়ে শুধু বিরোধী দলের লোকজনদের খুঁজতে খুঁজতে দিন-রাত পার করে। সরকারের মন্ত্রী-এমপিরাই এখন লুটতরাজের একেকজন সর্দারে পরিণত হয়েছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী রেখে বিনা ভোটে ক্ষমতা দখলে রেখে সরকারের টপ-টু বটম লুটের টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে ব্যস্ত। যেন চারিদিকে শুধু হরিলুটেরই ধুম পড়েছে। বাছাই করা লোকজন দিয়ে খোলা হচ্ছে ব্যাংক। পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুয়ায়ী কোনোরকম যাচাই-বাছাই ছাড়াই এক ব্যাংকের পরিচালকরা আরেক ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছেন ইচ্ছামতো। নামমাত্র ব্যবসায়ী, ব্যাংক পরিচালক, ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা ও আওয়ামী রাজনীতিকের সংঘবদ্ধ চক্র সুকৌশলে লুট করছে ব্যাংকের টাকা। ভুয়া কাগজপত্র মর্টগেজ হিসেবে দেখিয়ে বিপুল অঙ্কের ঋণ নিয়ে যাচ্ছেন এই জালিয়াতরা। আবার কোনো মর্টগেজ ছাড়াই কর্পোরেট গ্যারান্টির নামে দেদারসে ঋণ দিচ্ছে ব্যাংকগুলো।

এসব কাজ হচ্ছে ব্যাংক মালিক, ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা ও জালিয়াত চক্রের সিন্ডিকেশনে। ফলে ব্যাংক খাত থেকে প্রতিনিয়ত বেরিয়ে পড়ছে জনগণের গচ্ছিত টাকা। যাচ্ছে, আর ফিরে আসছে না। সংসদে অর্থমন্ত্রীর দেওয়া তথ্যমতে, শুধু ব্যাংক পরিচালকরাই ১ লাখ ৭১ হাজার ৬১৬ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছেন ; যা মোট বিতরিত ঋণের ১১ দশমিক ২১ শতাংশ। এর ফলে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। একই সঙ্গে সব ধরনের দায় এড়াতে এবং অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ কমাতে ও ব্যাংকের ফিন্যানশিয়াল রিপোর্ট ভালো দেখাতে অবলোপন করা হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকার ঋণ। বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)-এর গবেষণায় দেখা যায়, ব্যাংকিং খাতে সংঘটিত ৯০ শতাংশ অপরাধে জড়িত ব্যাংকের নিজস্ব লোকজন। বিশেষ করে পরিচালকদের হাত রয়েছে সবচেয়ে বেশি। পরিচালকরা বর্তমানে একে অন্যের সঙ্গে ভাগাভাগি করেও ঋণ নিচ্ছেন।

ব্যাংকগুলোর খেলাপিদের ঋণের একটি বড় অংশই বর্তমান ও সাবেক ব্যাংক পরিচালক, তাদের স্ত্রী-পুত্র-সন্তান বা তাদের নিকটাত্মীয়দের কাছে আটকা পড়ে আছে। এসব ঋণ প্রস্তাব, অনুমোদন ও বিতরণের প্রতিটি ক্ষেত্রেই অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সূত্র জানায়, আগে নিজ ব্যাংক থেকেই পরিচালকরা বেশি ঋণ নিতেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বর্তমান বিধি অনুযায়ী পরিচালকরা নিজ ব্যাংক থেকে তাদের মোট শেয়ারের ৫০ শতাংশের বেশি ঋণ নিতে পারছেন না। তবে তাদের অন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে কোনো বাধা নেই। ফলে পরিচালকরা এখন পরস্পর যোগসাজশে একে অন্যের ব্যাংক থেকে যেমন ঋণ নিচ্ছেন, তেমন প্রভাব খাটিয়ে নানা সুবিধাও নিচ্ছেন। এদিকে নামে-বেনামে ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ করা হচ্ছে না। এমনকি ব্যাংক পরিচালকের কাজের লোক, আত্মীয়স্বজন, পাড়া-পড়শির নামে ঋণ নিয়ে তা আর পরিশোধ করছেন না। এভাবেই ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তা পুরোপুরি মেরে দেওয়ার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। পরে বছরের পর বছর অনাদায়ী দেখিয়ে এক পর্যায়ে তা খেলাপি ঋণ হিসেবে দেখানো হচ্ছে। এ ছাড়া ভুয়া কাগজপত্র, জাল দলিল, ভুয়া এফডিআর মর্টগেজ হিসেবে দেখিয়ে যাচাই-বাছাই না করে আবেদনকারীদের বড় অঙ্কের ঋণ দেওয়া হচ্ছে। ঋণের বিপরীতে রাখা জামানতের সম্পত্তিতে সাইনবোর্ড লাগানোর নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।

সাংবাদিক বন্ধুগণ,
এখন আন্তর্জাতিরক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশের ব্যাংক খাত নিয়ে একটি রিপোর্ট দিয়ে বলেছে, বাংলাদেশে খেলাপি আড়াল করে রাখা হচ্ছে। এখানে খেলাপি ঋণের যে তথ্য প্রকাশ করা হয়, প্রকৃত খেলাপি ঋণ তার তুলনায় অনেক বেশি। তাদের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশ সরকারের খেলাপি ঋণ হবে প্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকা। তার মানে এই অবৈধ সরকার আর দেশ চালাতে পারছে না। সব চেটেপুটে খেয়ে এখন দেশটাকেই দেউলিয়া করে দিচ্ছে। আর কিছুদিন তারা ক্ষমতায় থাকলে তারা অন্যদেশের কাছে নিজের দেশ বন্ধক রেখে দিবে। তাই জনগণের দাবি পদত্যাগ করে চলে যান। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হলে আবারো স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরবে ইনশাআল্লাহ ।

সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা,
গতকাল সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন-জনগণের প্রতি আস্থা নেই বিএনপি’র। বিদেশীদের কাছে নালিশ করাই তাদের কাজ। সভা-সমাবেশ করে জনগণের কাছে বক্তব্য তুলে ধরতে পারে না। ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনাদের দান-খয়রাতের গণতন্ত্রে জনগণকে কোথায় পাঠিয়েছেন তা কি আপনি জানেন ? জনগণের প্রতি যখন এতোই আপানদের আস্থা তাহলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার তুলে দিয়ে নিশিরাতের নির্বাচন করছেন কেন ? আসলে জনগণ বলতে আপনি কি বোঝান তা কেউ বুঝতে পারে না। আপনি হয়তো অন্যদেশের জনগণের কথা বলছেন। তারা হয়তো আপনাদেরকে সমর্থন করে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ তো বন্দী, তা না হলে মধ্যরাতে নির্বাচন করবেন কেন ? তা না হলে চিটিং-ভোটিং মেশিন দিয়ে নির্বাচন করবেন কেন ? যা সারা দুনিয়া বাতিল করেছে। আসলে ওবায়দুল কাদেরের মতো আওয়ামী রাজন্যবর্গরা ক্ষমতার নেশায় সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশকে জালিয়াতির ভাইরাসে ভরিয়ে দিয়ে জনগণের কথা বলে জনগণকে বিদ্রুপ করে।

বন্ধুরা,
আরেকটি বিষয়ে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই-ফেব্রুয়ারী মাসে অমর ২১শে গ্রন্থমেলা চলছে। বইমেলাটি আগে ছিল সার্বজনীন। কিন্তু এখন ২১শে বইমেলা আওয়ামী বইমেলায় পরিণত হয়েছে। বইমেলার সার্বজনীনতা হারিয়ে গেছে। বইমেলার সর্বজনগ্রাহ্য সম্ভ্রম ক্ষুন্ন করা হয়েছে। বইমেলার বিভিন্ন স্টল আওয়ামীকরণে সজ্জিত করা হয়েছে। বইমেলায় ঢুকলেই মনে হয়-এটি যেন আওয়ামী লীগের কোন কাউন্সিল অধিবেশন। একদলীয় দু:শাসনের দুরন্ত প্রভাব পড়েছে চলমান ২১শে বইমেলায়।
ধন্যবাদ সবাইকে। আল্লাহ হাফেজ।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com