শিশুর কোন কোন লক্ষণ ভিটামিন সি ঘাটতির ইঙ্গিত দেয়?
শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি হলো ভিটামিন সি। এই ভিটামিন শরীরের একাধিক কাজ করে। আর এই ভিটামিনের ঘাটতিতে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই বড়দের উচিত নিজেদের পাশাপাশি শিশুদের শরীরেরও খেয়াল রাখা। না হলে শিশুর শরীরে একাধিক জটিলতা দেখা দিতে পারে।
জ্বর-সর্দি-কাশি
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ভিটামিন সি। তাই স্বাভাবিকভাবেই এর ঘাটতি হলে দুর্বল হয়ে পড়ে ইমিউনিটি সিস্টেম। ফলে পিছু নেয় জ্বর, সর্দি, কাশির মতো সমস্যা। তাই আপনার সন্তান বারবার এসব সমস্যায় আক্রান্ত হলে তাকে ভিটামিন সি’যুক্ত খাবার অবশ্যই খাওয়াতে হবে।
রুক্ষ ত্বক
ভিটামিন সি ত্বককে অক্সিডেটিভ ড্যামেজ থেকে বাঁচায়। তবে শরীরে এই ভিটামিনের ঘাটতি হলে ত্বকের সমস্যা বাড়ে। সেক্ষেত্রে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। তাই হঠাৎ করেই যদি আপনার সন্তানের ত্বক শুষ্ক হয়, তাহলে ময়েশ্চারাইজার মাখানোর পাশাপাশি তাকে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারও খাওয়াতে হবে।
ক্ষত সারে না
ভিটামিন সি কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে। আর কোলাজেন নামক প্রোটিন ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। তাই শিশুর ত্বকের কোথাও ক্ষত হলে তা যদি ঝটপট সারতে না চায়, তাহলে সেদিকে নজর দিন।
এক্ষেত্রে সবার প্রথমে তাকে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাওয়ান। একই সঙ্গে তার ডায়েটে কিছু প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারও রাখুন। তাহলেই দ্রুত সেরে উঠবে সন্তান।
হাড়ের জোর কমে যায়
শুধু ভিটামিন ডি ও ক্যালশিয়ামের অভাব হলেই হাড় ক্ষয়ে যায় না, ভিটামিন সি’যুক্ত খাবার কম খেলেও হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। এমনকি জয়েন্টেও হতে পারে তীব্র ব্যথা। তাই সন্তানের জয়েন্টে ব্যথা হলে তার ডায়েটে ভিটামিন সি’যুক্ত খাবার রাখতে হবে।
কোন কোন খাবারে ভিটামিন সি আছে?
১. লেবু
২. আপেল
৩. পেয়ারা
৪. আম
৫. আমলকী
৬. ব্রকোলি
৭. পালং শাক ইত্যাদি।
এসব খাবার খাওয়ানোর পরও যদি উপরের লক্ষণে পরিবর্তন না আসে, তাহলে দ্রুত শিশুকে চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে ও তার পরামর্শে ভিটামিন সি সাপ্লিমেন্ট খাওয়াতে হবে।
সূত্র: হেলথলাইন