কোটা আন্দোলন: রাজধানীতে একাধিক নিহতের খবর
কোটা আন্দোলনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। উত্তরায় সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আর বাড্ডায় নিহত হয়েছেন একজন। আহত হয়েছেন অনেকেই। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি।
উত্তরা এলাকায় নিহতের বিষয়টি উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সাব্বির আহমেদ বিভিন্ন গণমাধ্যমকে জানান। অন্যদিকে, রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় সংঘর্ষে একজন মারা গেছেন বলে সাংবাদিকদের স্থানীয় ফরাজী হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছেন। নিহতের নাম দুলাল মিয়া। তিনি একজন মাইক্রোবাসচালক। সংঘর্ষের সময় তিনি একটি হাইয়েস মাইক্রোবাস চালিয়ে ওই এলাকা পার হওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন। হাসপাতালটির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রুবেল হোসেন গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।
সংঘর্ষের ঘটনায় শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি ও নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেলেও দায়িত্বশীল কোনও মাধ্যম থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়নি। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, মৃত্যুর বিষয়ে তাদের কাছে কোনও তথ্য নেই। তিনি পুলিশের কন্ট্রোল রুমে অবস্থান করছেন বলেও জানান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উত্তরা এলাকার হাউজ বিল্ডিং থেকে রাজলক্ষ্মী মোড় পর্যন্ত সড়কে অবস্থান নেন কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা। বেলা ১১টার দিকে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের উত্তরা অংশ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে পুলিশ ও র্যাব তাদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করলে পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরাও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশ ও র্যাব সদস্যসহ অনেক শিক্ষার্থী হতাহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, রাজধানী বিমানবন্দর মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি), নর্দার্ন বিশ্ববিদ্যালয়, শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, উত্তরা ইউনিভার্সিটি, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উত্তরা হাই স্কুল, নওয়াব হাবিবুল্লাহ স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও টঙ্গী সরকারি কলেজসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেন।