বিপন্ন গণতন্ত্রকে উদ্ধারে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অবদান অবিস্মরণীয়

0

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে মিথ্যার ফেরিওয়ালা বলে আখ্যা দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে রিজভী বলেন, বারবার অসুস্থ হওয়ার পরও আপনি মিথ্যার ফেরিওয়ালাই থেকে যাচ্ছেন। সৃষ্টিকর্তার কথা বিবেচনা করে কিছুটা হলেও সত্য কথা বলার চেষ্টা করুন।

বিএনপির সিটি নির্বাচনের দাবি মামাবাড়ির আবদার- আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, আমি ওবায়দুল কাদেরকে বলব– আপনি ভোট কারচুপির এমনই মেকানিজম করেছিলেন যে, নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। আপনার সুস্থতা কামনা করি। কিন্তু জালিয়াতির মেশিন ইভিএম দিয়ে ভোটারদের যেভাবে সরষে ফুল দেখিয়েছেন, সে জন্য আপনাকে নিয়ে ভোটাররা কী ভাবছেন সেটি একটু ভেবে দেখুন।

ভোট ডাকাতি সরকারের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে, এমন দাবি করে বিএনপির এ নেতা বলেন, সিটি নির্বাচনের ফল বাতিল ও পুনর্নির্বাচনের দাবি প্রতিটি মানুষের। ভোট ডাকাতি এখন আপনাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আপনারা এখন চরম ঘৃণার পাত্রে পরিণত হয়েছেন। জোর করে বিনাভোটে ক্ষমতায় থেকে কীভাবে আপনারা বেহায়ার মতো অবৈধ কর্মকাণ্ডের পক্ষে কথা বলেন?

খালেদা জিযার মুক্তি দাবি করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় বিনা অপরাধে দুই বছরের বেশি সময় ধরে কারাবন্দি রাখা হয়েছে। জেলের ভেতরে তাকে হত্যার চেষ্টা চলছে। ৭৫ বছর বয়সী এই নারীকে মুক্তি দিয়ে দ্রুত উন্নত সুচিকিৎসার ব্যবস্থা না করলে আমরা তার জীবনহানির আশঙ্কা করছি।

জিয়া ও খালেদা জিয়া এ মাটির সন্তান নয়– প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানান রিজভী। বলেন, জিয়া ও খালেদা জিয়াই সত্যিকারের দেশপ্রেমিক। কেননা জিয়াউর রহমানই দেশের ক্রান্তিকালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদ থেকে রক্ষা করেছিলেন। বিপন্ন গণতন্ত্রকে উদ্ধারে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অবদান অবিস্মরণীয়। তিনি এখনও হারানো গণতন্ত্র এবং মানুষের বাক-ব্যক্তিস্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। কোনো স্বৈরাচারের নিকট মাথানত করেননি বলেই তিনি আপসহীন নেত্রী আখ্যায় আখ্যায়িত হয়েছেন। তিনি সর্বদা দেশের মানুষের পাশেই আছেন, অবৈধ শাসকগোষ্ঠীর চোখ রাঙানিতে ভীত হয়ে বিদেশ পালিয়ে যাননি।

প্রধানমন্ত্রীর পরিবারকে ইঙ্গিত করে বিএনপির এ নেতা বলেন, দেশের মানুষের পাশে না থেকে কে বিদেশ পালিয়েছে কিংবা কার সন্তান কোথায় বিয়ে করেছেন বা কীভাবে আছেন তা দেশবাসী ভালোভাবেই জানে। সুতরাং বাংলাদেশের মাটির সন্তান কে বা কারা তা দেশবাসীর অজানা নয়।

অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, কয়েক দিন আগে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন– তিনি বিশ্বের এক নম্বর অর্থমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রীর এই কথা চিরকুটে লিখে রাখলাম। হাসতে হাসতে হার্টফেল করলে অর্থমন্ত্রী দায়ী থাকবেন। এই বক্তব্য অজ্ঞাতপ্রসূত নয়, রাজনৈতিক ধান্দাবাজপ্রসূত। অর্থমন্ত্রী এই বক্তব্যের পরের দিনই আবার বলেছেন– দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ। মূলত স্বস্বীকৃত ১নং অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল দেশের অর্থনীতির বারোটা বাজিয়েছেন। আসলে গণতন্ত্র ধ্বংসকারী মন্ত্রীদের মুখে এ ধরনের অবান্তর বক্তব্যই মানায়।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com