মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালসহ ৭ দাবিতে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মানববন্ধন

0

মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে কটূক্তিকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ সাত দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

শনিবার (১৩ জুলাই) বিকেল ৪টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে সংগঠনটি। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের সঞ্চালনায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।

এছাড়াও বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আ.ক.ম জামাল উদ্দিন, শহীদ সন্তান প্রজন্ম ৭১ এর সভাপতি আজিজুর রহমান প্রমুখ।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, আমাদের পূর্বসূরিরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে দেশমাতৃকার জন্য নিজের জীবন ও যৌবন উৎসর্গ করে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠার দৃঢ প্রত্যয়ে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ও সংবিধান প্রাপ্তির আশায় বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে।

আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ চিন্তা ও লক্ষ্যের উত্তরসূরি বিধায় বাংলাদেশের ভবিষ্যতেরও উত্তরসূরি। আমরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখতে, বাংলাদেশের আইন ও সমাজ ব্যবস্থা রক্ষা করতে এবং সর্বোপরি মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ এগিয়ে নিয়ে যেতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও উত্তরসূরিদের বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ কোটা সংরক্ষণ ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করা আবশ্যক।

সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তি শিবির-ছাত্রদল পরিকল্পিতভাবে সাধারণ মানুষের মাঝে গুজব ছড়িয়ে কোটা ব্যবস্থাকে বৈষম্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। সত্যিকার অর্থে কোটা ব্যবস্থা কখনো বৈষম্য তৈরি করে না বরং বৈষম্য দূর করে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করে। ১০ শতাংশ জেলা ও ১০ শতাংশ নারী কোটার সুবিধা এদেশের জনগণই পেয়ে থাকেন। সাধারণ প্রার্থীরাই এসব কোটা সুবিধার আওতাভুক্ত। নারী ও জেলা কোটার কারণে রাষ্ট্রের অধিকাংশ নাগরিক কোটা সুবিধার আওতায় পড়েন। বিশ্বের সব রাষ্ট্রে কোটা ব্যবস্থা চালু রয়েছে।

তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে যারা সুপ্রিম কোর্টের গেটে গিয়ে হাইকোর্টকে ভুয়া ভুয়া বলে স্লোগান দিয়ে আদালত অবমাননা করেছে তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। আন্দোলনের নামে যারা সুপরিকল্পিতভাবে স্বাধীন বিচার বিভাগকে অবমাননা করে তারা কখনোই বাংলাদেশকে ধারণ করে না। এরা স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি জামাত-শিবিরের দোসর।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com