ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ জাবি শিক্ষার্থীদের
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এর প্রতিবাদে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ৩০ মিনিট অবরোধ করে রাখে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্প্রতিবার (০৪ জুলাই) দুপুর সোয়া ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গিয়ে অবরোধ করেন তারা।
অবরোধে শিক্ষার্থীরা- ‘লেগেছে রে লেগেছে রক্তে আগুন লেগেছে, লাখো শহীদের চেতনা, বৃথা যেতে দেবো না, মেধাবীদের কান্না আর না আর না, সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে, আঠারোর পরিপত্র বহাল চাই বহাল চাই’ ইত্যাদি কোটাবিরোধী স্লোগান দিতে থাকে। এসময় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনে থাকার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী তৌাহিদ মো. সিয়াম বলেন, আপিল বিভাগ আজ শুনানি না দিয়ে ছাত্রসমাজের সঙ্গে টালবাহানা করেছে। আমরাও বলে দিতে চাই আমাদের দাবি পূরণ না হলে পুরো দেশ অচল করে দেওয়া হবে। সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে আজকে মাত্র ৩০ মিনিট অবরোধ করা হয়েছে। এর পর থেকে লাগাতার অবরোধ চলবে।
নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৫০ ব্যাচের শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলাম ইমন বলেন, সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখা হয়েছে। কোটা বৈষম্য বহাল রেখে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রহসন করার কারণে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করতে বাধ্য হচ্ছি।
পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী মাহফুজ মেঘ বলেন, হাইকোর্ট আজকে কোটা পুনর্বহালের রায় বহাল রেখেছে, তারই প্রতিবাদে আমরা রাস্তা অবরোধ করেছি। যেহেতু এখনো শুনানি দেয়নি, সেটার উপর আশা রেখে জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আমরা এখনো অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য কর্মসূচি দেইনি। তবে আজকের এই কর্মসূচি থেকে জানাতে চাই, যদি এই কোটা প্রথা বহালের টালবাহানা করা হয় তাহলে আমরা কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে সারাদেশ অচল করার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আলমগীর কবির বলেন, কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদের কর্মসূচি হিসেবে সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ন্যায় এখানেও শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করেছে। তবে এম্বুলেন্সগুলো বিকল্প রাস্তা হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর দিয়ে পার করে দেওয়া হচ্ছে।