বিচার বিভাগের উপর দেশের মানুষের এখন আর আস্থা নেই
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ২০দলীয় জোটের সমন্বয়কারী নজরুল ইসলাম খান বলেন, নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র হয় না। এদেশে এখন আর নির্বাচন নেই, গণতন্ত্র নেই। তাই গণতন্ত্রের জন্য এ দেশের মানুষের মুক্তির জন্য খালেদা জিয়ার মুক্তি প্রয়োজন। সে মুক্তি কখন কিভাবে ঘটবে তা হয়তো এখনই বলা যাচ্ছে না, তবে সে মুক্তি অতি শিগগিরই হবে।
রোববার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ২০ দলীয় জোট আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, গণআন্দোলন আজান দিয়ে আসে না, ওটা ঘটে। আমরা লজ্জিত! খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য যে ধরনের আন্দোলন গড়ে তোলা প্রয়োজন, আমরা সেই আন্দোলন গড়ে তুলতে পারিনি।
তিনি বলেন, যে প্রক্রিয়ায় যেভাবে খালেদা জিয়া মুক্ত হতে পারেন, সে প্রক্রিয়া ২০দলীয় জোট অতি শিগগিরই গ্রহণ করবে। ২০দলীয় জোট খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এককভাবে কর্মসূচি ঘোষণা দেবে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী গুম হয়ে গেছে, খুন হয়েছে, অনেক নেতা-কর্মী এলাকা ছাড়া হয়েছে, তবুও কেউ দল ত্যাগ করেননি, আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ায়নি। বাংলাদেশের মানুষ কখন জেগে ওঠে বোঝা মুশকিল। বাংলাদেশের মানুষ অধিকারের জন্য কাউকে ছাড় দেয় না।
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, বিচার বিভাগের উপর দেশের মানুষের এখন আর আস্থা নেই। আমরা দেখেছি- যে বিচারক লোয়ার কোর্টে (নিম্ন আদালতে) খালেদা জিয়ার সাজা দিয়েছে সেই বিচারককে এখন হাইকোর্টের বিচারক বানানো হয়েছে। অন্যদিকে আমরা দেখেছি যে বিচারক এ সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেছে, এ সরকারের অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, সে বিচারককে পদত্যাগ করিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে।
এ সময় তিনি বলেন ,খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মুস্তাফিজুর রহমান ইরানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির মনজুরুল ইসলাম ভুইঁয়া, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, জাপার মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা লুৎফুর রহমান, এনপিপির ফরহাহাদুজ্জামান ফরহাদ, এনডিপির চেয়ারম্যান ক্বারী আবু তাহের, ইসলামী ঐক্যজোট মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম ও জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মহিউদ্দিন ইকরাম প্রমুখ।