ইতালিতে জি-৭ সম্মেলনে বাইডেন-ট্রুডোর সঙ্গে মোদীর সাক্ষাৎ
ইতালিতে অনুষ্ঠিত এবারের জি-৭ সম্মেলনে যোগ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনে উপস্থিত থাকেন বিশ্বের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রনেতারা।
সম্মেলনে যোগ দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে দেখেই জড়িয়ে ধরে সৌজন্য বিনিময় করেন মোদী, অন্যদিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর হাতে হাত রেখে কথা বলতে দেখা যায় তাকে। শুধু তাই নয় সম্মেলনের ফাঁকেই বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সেরে নিয়েছেন তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়া মোদী।
তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসার পর এটাই মোদীর প্রথম বিদেশ সফর। ইতালির প্রধানমন্ত্রীর জর্জিয়া মেলোনির আমন্ত্রণে বিশেষ অতিথি হিসাবে ৫০তম জি-৭ সামিটে যোগ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
এই সম্মেলনের মাঝেই শুক্রবার (১৪ জুন) বাইডেনের সঙ্গে দেখা করেন মোদী। দীর্ঘদিন পর বাইডেনকে দেখে জড়িয়ে ধরেন তিনি। এর পর বৈঠকে বসেন দুজনে। যা নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ সবসময়ই খুব আনন্দের। আগামী দিনে দুদেশের সম্পর্ক আরও মজবুত করতে ও বিশ্বের উন্নতি সাধনে আমরা একযোগে কাজ করবো।
অন্যদিকে মোদীকে কথা বলতে দেখা যায় ট্রুডোর সঙ্গেও। হাতে হাত রেখে সৌজন্য বিনিময় করেন তারা। এবারের লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভ করার জন্য মোদীকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী।
কিন্তু শুভেচ্ছাবার্তায় ভারতকে ‘খোঁচা’ দিয়েছিলেন তিনি। তুলেছিলেন মানবাধিকার প্রসঙ্গ। যার উত্তরে ধন্যবাদ জানিয়েও পাল্টা দিয়েছিলেন মোদীও। মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, একযোগে কাজ করতে গেলে পারস্পরিক সম্মান বজায় রাখা সবার আগে জরুরি।
তবে আগামী দিনে দুদেশের সম্পর্কের উন্নতি ঘটিয়ে একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দিয়েছিলেন দুজনেই। খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যার পর থেকেই ভারত-কানাডা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে চির ধরে। তাই ইতালিতে মোদি-ট্রুডোর সাক্ষাৎ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
স্থানীয় সময় শনিবার (১৫ জুন) সম্মেলন শেষ হওয়ার কথা। ফলে এরই মধ্যে ইতালি ছাড়াতে শুরু করেছেন বিশ্ব নেতারা।
সূত্র: দ্য ইকোনমিক টাইমস