গাজায় জাতিসংঘের স্কুলে ইসরাইলের বিমান হামলা, নিহত ৩২
গাজায় চলমান সংঘাতের মধ্যে জাতিসংঘের একটি স্কুলে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। মধ্য গাজার নুসেইরাত এলাকায় অবস্থিত স্কুলটিতে জোরপূর্বক বাস্ত্যুচুত হওয়া বহু বেসামরিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। তবে ইসরাইলি বাহিনীর দাবি, এই স্কুল হামাসের ‘আস্তানা’ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছিল।
এই হামলায় অন্তত ৩২ জন নিহত এবং ১২ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। খবর আলজাজিরার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শরণার্থীদের জন্য পরিচালিত জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মবিষয়ক সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) এই স্কুলে হামলা চালানোর কথা নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।
এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় হামাস নেতারা জানিয়েছে, গাজা যুদ্ধের স্থায়ী সমাধান এবং সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত হওয়ার জন্য অবিলম্বে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার প্রয়োজন। তবে ইসরাইলের প্রতিরক্ষাপ্রধান বলেছেন, আলোচনার সময় যুদ্ধ থামানো হবে না।
যদি নির্বিচার হামলা অব্যাহত থাকে তাহলে গাজার ১০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি সর্বোচ্চ ক্ষুধামন্দার কবলে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। তবে এসব সতর্কবানীতে কর্ণপাত করছেন না ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনঞ্জামিন নেতানিয়াহু। বরং লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ‘তীব্র অভিযান’ শুরু করার কথা জানিয়েছেন তিনি। ওই অঞ্চলে ৮ মাস ধরে ইসরাইলি সেনারা ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহর সঙ্গে প্রায় প্রতিদিনই গুলি বিনিময় করছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ইসরাইলের হামলায় কমপক্ষে ৩৬ হাজার ৫৮৬ জন নিহত এবং ৮৩ হাজার ৭৪ জন আহত হওয়ার কথা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য দফতার। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দালন হামাসের হামলায় ইসরাইলে নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে এক হাজার ১৩৯ জন। হামাসের কাছে এখনো কয়েক ডজন ইসরাইলি বন্দি আটক রয়েছে।