ছিলেন ভারতে, গাড়ি ভাঙলেন ঢাকায়!
ব্যক্তিগত চিকিৎসার জন্য গত ৯ জানুয়ারি থেকে ভারতে গেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কাওসার রাসেল। প্রায় একমাস ধরে চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন তিনি। কিন্তু গত ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বিএনপির ডাকা হরতালের দিন গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশ সদস্যদের হত্যাচেষ্টার অভিযোগে পুলিশের করা একটি মামলায় আরও ১২০ জনের সঙ্গে তাঁকেও করা হয়েছে আসামি।
ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরের দিন ২ ফেব্রুয়ারি ফল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপির ডাকা হরতালের সমর্থনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও পিকেটিং করে ছাত্রদল। এর পরদিন গাড়ি ভাঙচুর, পুলিশের কাজে বাঁধা দেওয়া ও পুলিশ সদস্যদের হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণের মাধ্যমে আহত করার অভিযোগ এনে শাহবাগ থানায় বাদী হয়ে ওই মামলাটি করেন শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এ কে এম নিয়াজউদ্দিন মোল্লা।
মামলায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম ও সদস্যসচিব আমানউল্লাহ আমানসহ ছাত্রদলের ১২০ জন নেতাসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৬০-৭০ জনকে আসামি করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এই মামলায় এই চার নেতাসহ ছাত্রদলের ৯৯ নেতা হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পেয়েছেন। চার সপ্তাহের জন্য এই জামিন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁদের অন্যতম আইনজীবী কায়সার কামাল। তবে ভারতে অবস্থান করায় কাওসার রাসেল নামের ওই নেতা জামিনের আবেদন করতে পারেননি।
আজ শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) তার সাথে যোগাযোগ করলে নিজের পাসপোর্টের কপি ও আনুষঙ্গিক কিছু প্রমাণ দিয়ে কাওসার রাসেল বলেন, ৯ জানুয়ারি থেকে প্রায় এক মাস ধরে আমি ভারতে আছি। সপ্তাহ খানেক পর দেশ আসবো। ভারতে থেকেও মামলার আসামি হওয়ায় বিস্মিত হয়েছেন এই নেতা। এদিকে, তার ভারতে অবস্থানের বিষয়টিও কয়েকটি সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ঢাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিনহাজ আহমেদ প্রিন্স বলেন, রাসেল তখন ভারতে ছিলেন এবং এখনও আছেন। ওই মামলার আসামী শুনে আমরাও বিস্মিত হয়েছি। এরই ফলে সেই মামলার মেরিট আর থাকবেনা বলেও তিনি মন্তব্যে করেন।