শ্রীলঙ্কার সামনে ভয়ডরহীন দক্ষিণ আফ্রিকা

0

সাম্প্রতিক সময়ের ব্যাটিং পাওয়ার হাউজ দক্ষিণ আফ্রিকা। হাইনরিখ ক্লাসেন, ত্রিস্টান স্টাবস, এইডেন মারক্রামদের কোনওভাবেই বাক্সবন্দী করে রাখা যাচ্ছে না। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ‘ডি গ্রুপে’বেসামাল এই ব্যাটিং শক্তির সামনে আজ প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। যাদের আস্থা বৈচিত্র্যময় বোলিং আক্রমণে। নিউ ইয়র্কের মাঠে ম্যাচটা মাঠে গড়াবে রাত সাড়ে ৮টায়।

‘ডি’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচ হওয়ায় দুই দলই চাইবে পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের অবস্থানটা সুবিধাজনক জায়গায় রাখতে।

প্রোটিয়া দলটা মোটামুটি ভারসাম্যপূর্ণ। তবে সবচেয়ে বেশি ভয়ানক দলটির ব্যাটিং বিভাগ। অধিনায়ক এইডেন মারক্রাম, কিপার ব্যাটার হাইনরিখ ক্লাসেন, কুইন্টন ডি কক, ডেভিড মিলার এবং ত্রিস্টান স্টাবসরা যে কোনও বোলারের জন্য আতঙ্ক। বিশেষ করে শেষ দিকে ক্লাসেন ও স্টাবসরা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে জানেন। সর্বশেষ আইপিএলে যার ঝলকটা দেখা গেছে। ক্লাসেন হায়দরাবাদের হয়ে ১৬ ম্যাচে ১৭১ স্ট্রাইক রেটে ৪৭১ রান করেছেন। দিল্লির হয়ে স্টাবসও ছিলেন সমানভাবে উজ্জ্বল। ১৪ ম্যাচে ৩৭৮ রান করেছেন ১৯০ স্ট্রাইক রেটে।

দুই ব্যাটারই মিডল অর্ডারে এমন সময় ব্যাট করতে আসেন, তখন মাঠে কার্যকর থাকে স্পিন বোলিং। ঠিক এই জায়গাটাই লঙ্কানদের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে। বিশেষ করে ক্লাসেন বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত ৫৯ গড়ে রান তুলেছেন। স্ট্রাইক রেটও ছিল চোখ ১৯১!

ফলে লঙ্কান স্পিনারদের আজ কঠিন পরীক্ষার সামনে পড়তে হচ্ছে। তার ওপর দুই মূল স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (ইকোনমি ৭.৪২) ও মাহিশ থিকশানা (৬.৭১) সম্প্রতি চোট সারিয়ে ফিরেছেন।

শ্রীলঙ্কা দলের জন্য বাড়তি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ২০১৪ সালে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর নকআউটেই যেতে পারেনি। এই অবস্থায় মিডল অর্ডারে ক্লাসেন ও স্টাবসরা যখন গিয়ার বদলাতে উদ্যত হবেন, লঙ্কান দলের ভরসা হতে পারেন পেসার মাথিশা পাথিরানা ও দিলশান মাধুশাঙ্কা। তাছাড়া শ্রীলঙ্কা প্রেরণা নিতে পারে সাম্প্রতিক সিরিজ থেকেও। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে তিন ম্যাচে প্রোটিয়ারা হোয়াইটওয়াশ হয়েছে।

পাশাপাশি পিচ থেকেও বাড়তি সুবিধা পাওয়ার আশা করতে পারে। যেটা ভারত-বাংলাদেশ প্রস্তুতি ম্যাচেই দেখা গেছে। ড্রপ ইন পিচে বেশ কিছু ডেলিভারি হাঁটু কিংবা গোড়ালির ওপরে উঠতে দেখা যায়নি। বল নিচু হয়ে যাচ্ছে। যেটা লঙ্কানদের বৈচিত্র্যময় বোলিংকে বাড়তি সুবিধা দিতে পারে।

তাছাড়া আরেকটি জায়গাতেও তারা এগিয়ে। এই বছর যে কয়টি দল বেশি টি-টোয়েন্টি খেলেছে তাদের মধ্যে শ্রীলঙ্কা অন্যতম। তাছাড়া এই বছর ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজ জিতেছে। সব মিলে সর্বশেষ ৯ টি-টোয়েন্টির ৬টি তারা জিতেছে। কিন্তু সম্পূর্ণ নতুন দিনে বাড়তি এসব ফ্যাক্টর সেভাবে হয়তো প্রভাব ফেলবে না। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে মাথা তুলে দাঁড়াতে হলে লঙ্কান ব্যাটারদের সেভাবেই চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে হবে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com