এক্সিট পোল ২ মাস আগেই তৈরি, এগুলো সব বিজেপির তৈরি: মমতা
ভারতে লোকসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে। এবার ফলাফলের পালা। আনুষ্ঠানিক ভোটগণনার আগে অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষাতেই দেখানো হয়েছে বিজেপি জিততে চলেছে। এমনকি পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যটির শাসক দল তৃণমূলের চেয়েও এগিয়ে বিজেপি।
তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসব সমীক্ষা মানতে রাজি নন। তিনি বলেছেন, এই এক্সিট পোলে তিনি বিশ্বাস করেন না। ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মমতা এমনটা জানান বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভোটগ্রহণ শেষ হতেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সংস্থার এক্সিট পোল দেখে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেছেন, এক্সিট পোলগুলোর তথ্য ভুল। এই এক্সিট পোলগুলো দুই মাসে আগেই তৈরি হয়ে গিয়েছিল। এগুলো সব বিজেপির তৈরি করা।
মমতা বলেন, ‘২০১৬ সাল, ২০১৯ সাল ও ২০২১ সালের এক্সিট পোল দেখেছি। কোনোটাই মেলাতে পারিনি, কারণ এগুলো সব বিজেপির তৈরি। মিডিয়াকে খাইয়ে দেওয়া হয়েছে। দুই মাস আগেই এই এক্সিট পোলগুলো তৈরি হয়ে গিয়েছিল। সেই কোম্পানিটাও বিজেপির কোম্পানি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি অন্য রাজ্যের বিষয়ে বলতে পারব না, কারণ আমার অন্য রাজ্য নিয়ে ধারণা নেই। তবে অখিলেশরা ভালো করবে, তেজস্বীরা ভালো করবে, স্ট্যালিনরা ভালো করবে। উদ্ধবরা ভালো করবে। যেখানে যেখানে আঞ্চলিক দল রয়েছে, তারা ভালো ফল করবে। যেই-ই আসুক না কেন, খুব বেশি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আসবে না।’
ইন্ডিয়া জোটের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নিয়ে মমতা বলেন, ‘আমি এরকম কোনও কথা বলতে পারি না। অন্য রাজ্যের তথ্য নেই আমার কাছে, কিন্তু নিজের রাজ্যের কথা বলতে পারি। যেভাবে আমরা গরমে কাজ করেছি। সিটগুলো নিয়ে পর্যন্ত বলছে, এই সিটে হারছে, ওই সিটে হারছে। তার মানে কি বিজেপির কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল। জানল কী করে কোন সিটে কে জিতছে, কে হারছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভোটটা যদি মেশিনেই হয়, ভোটটা যদি গোপনেই হয়, তবে জানল কী করে। আমরা জানবার আগে, কাউন্টিং হওয়ার আগে মিডিয়া কী করে বলছে কে কোন সিটে কে জিতবে, কে হারবে। আমি এই মিডিয়ার ক্যালকুলেশন মানি না। আমি আমাদের কর্মীদের বলব, শক্তিশালী থাকতে, ভালো করে কাউন্টিং করতে। যা সিট দেখিয়েছে মিডিয়া, তার ডবল সিট যদি জিততে না পারি, তখন দেখবেন। প্রত্যেকটা সিট আমরা জিতব।’
পশ্চিমবঙ্গের এই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কোনও নম্বরে যাব না। আমরা যেভাবে মাঠে-ঘাটে কাজ করেছি, আমি মানুষের চোখ দেখেছি, তাতে আমার কখনও মনে হয়নি মানুষ আমাদের ভোট দেবে না। বিজেপি অনেক শয়তানি করেছে। সিবিআই-ইনকাম ট্যাক্স রেইড, সিএএ, ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল, চাকরি খেয়ে নেওয়া, টাকা বন্টন করা।’