ধূমপান ও হৃদরোগের মধ্যে আদৌ কোনো সম্পর্ক আছে কি?
ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক, এ কথা সবাই কমবেশি জানেন তবে মানেন না অনেকেই। ধূমপানের অভ্যাস বিভিন্ন রোগ ডেকে আনে। অতিরিক্ত ধূমপান করলে শরীরে তার দীর্ঘ প্রভাব পড়ে।
বিশেষ করে ধূমপানের ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায় ও পরবর্তী সময়ে তা হৃদরোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ধূমপান ও হৃদরোগের মধ্যে আদৌ কোনো সম্পর্ক আছে কি?
গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপানের কারণে প্রতি চারজনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয় ও বেশিরভাগই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। ধূমপানের কারণে রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে ভালো কোলেস্টেরল অর্থাৎ এইচডিএল কমে যায়। যে কারণে ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি বাড়ে।
এ কারণে হৃৎপিণ্ড আর মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাধাপ্রাপ্ত হয়। সঙ্গে রক্তনালিতে চর্বি, খারাপ কোলেস্টেরল ক্যালশিয়াম, ক্রিস্টালের আকারে জমতে শুরু করে। ফলে রক্তনালির দেওয়াল পুরু হতে থাকে। ফলে হার্ট অ্যার্টাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক জেনেও অনেকে তা ছাড়তে পারেন না। এক্ষেত্রে কিছু করণীয় আছে। যা অনুসরণ করে সহজেই আপনি ত্যাগ করবেন কী করে?
>> ধূমপান ত্যাগ করার জন্য নানা পন্থা অবলম্বন করেন অনেকে। নিকোটিন থেরাপি তার মধ্যে অন্যতম। ধূমপান করতে ইচ্ছা করলে নিকোটিন দেওয়া স্প্রে বা চিউইং গাম খেলে এই সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
>> ঠিক যে যে সময়ে ধূমপান করতে ইচ্ছে করবে, তখন তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারাও কিন্তু এক রকম অভ্যাস। বন্ধু সমাগমে, কাজের ফাঁকে বা মানসিক চাপে, যখনই ধূমপান করতে ইচ্ছে করবে নিজেই নিজের মন অন্যদিকে নিন কিংবা অন্য কিছু ভাবুন।
>> যখনই ধূমপান করতে ইচ্ছা করবে, মুখে লজেন্স বা চিউইং গাম দিয়ে রাখতে পারেন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপানের ইচ্ছায় লাগাম পরাতে চাইলে মনকে যদি অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া যায়, তা হলে বেশ অনেক ক্ষণ পর্যন্ত এই ইচ্ছাকে বশে রাখা যেতে পারে।
সূত্র: এএইচএ জার্নাল