গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা তদন্তে সহযোগিতা করছেন আমাল ক্লুনি
গাজায় ইসরায়েলের মানবতাবিরোধী অপরাধ যাচাইয়ে সহায়তা করেছে হাই-প্রোফাইল ব্রিটিশ-লেবানিজ ব্যারিস্টার আমাল ক্লুনি। এর ফলে শীর্ষ ইসরায়েল এবং হামাস নেতাদের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়ে আরব নিউজ।
আমেরিকান অভিনেতা ও ক্লুনির স্বামী জর্জ ক্লুনি প্রতিষ্ঠিত ‘ফাউন্ডেশন ফর জাস্টিস’-এর ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতি এই তথ্য জানান তিনি।
গাজায় বেসামরিক মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে কথা না বলার জন্য তিনি এবং ফাউন্ডেশন উভয়ই এর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচিত হয়েছিল।
ক্লুনি বলেছিলেন, তাকে প্রসিকিউটর করিম খান ইসরায়েল এবং গাজায় সন্দেহভাজন যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের প্রমাণ মূল্যায়ন করার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেলে যোগ দিতে বলেছিলেন।
বিবৃতিটি সেদিনই এসেছিল যেদিন খান বলেছিলেন যে তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের পাশাপাশি হামাসের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাইছেন।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে খান তার বিবৃতিতে ক্লুনিকেও ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন।
ক্লুনি এবং প্যানেলের অন্য সদস্যরা সোমবার ফিনান্সিয়াল টাইমস-এ একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন। যাতে সংঘর্ষে যুদ্ধাপরাধের জন্য আইসিসির বিচারকে সমর্থন করে।
ক্লুনি তার বিবৃতিতে বলেছিলেন যে ‘আমার দৃষ্টিভঙ্গি আমার কাজের চলমান ভাষ্য প্রদান করা নয়। বরং কাজটিকে নিজের পক্ষে কথা বলতে দেয়া। আমি এই প্যানেলে কাজ করেছি। কারণ আমি আইনের শাসন এবং বেসামরিক জীবন রক্ষার প্রয়োজনে বিশ্বাস করি।’