দুই আইনপ্রণেতার ব্যক্তিগত আক্রমণে উত্তপ্ত মার্কিন কংগ্রেস
গত বৃহস্পতিবার রাতে মার্কিন কংগ্রেসের এক শুনানিতে সৃষ্টি হয় ব্যাপক বিশৃঙ্খলা। রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরাই জড়িয়ে পড়েন উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ে। সেই সঙ্গে চলে ব্যক্তিগত আক্রমণ। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম দ্য হিল এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
অধিবেশনে টেক্সাসের ডেমোক্রেটিক প্রতিনিধি জেসমিন ক্রকেট চোখে নকল পাপড়ি পরে আছেন বলে কটাক্ষ করেন জর্জিয়ার রিপাবলিকান প্রতিনিধি মার্জোরি টেলর গ্রিন। এরপর উত্তপ্ত তর্কে জড়িয়ে পড়েন মার্জোরি টেলর গ্রিন, জেসমিন ক্রকেট এবং নিউইয়র্কের ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজ।
দ্য হিল বলছে, মার্কিন কংগ্রেসের ওভারসাইট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিবিলিটি কমিটি বিশেষ কাউন্সিল রবার্ট হুরের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাক্ষাৎকারের অডিও হস্তান্তর না করায় অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ডের বিরুদ্ধে কংগ্রেস অবমাননার অভিযোগে শুনানি করছিল। সংসদ সদস্যরা এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে একে অপরের বিরুদ্ধে চেঁচামেচি করছিলেন বলে শুনানির কার্যক্রম এগোনো যায়নি।
কমিটির সদস্যরা প্রথমে শুনানির সময় গ্রিনের বক্তৃতা চালিয়ে যাওয়ার অনুমতির বিষয়ে ভোট দেন। রিপাবলিকান প্রতিনিধি মার্জোরি টেলর গ্রিন প্রশ্ন করেছিলেন, প্যানেলের ডেমোক্র্যাটরা বিচারক হুয়ান মার্চেনের মেয়েকে নিয়োগ করছেন কি না। হুয়ান মার্চেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাশ মানি মামলার তত্ত্বাবধানে আছেন।
এই বিতর্ক উত্তপ্ত বাদানুবাদে পরিণত হয়, যখন গ্রিনকে জেসমিন ক্রকেট প্রশ্ন করেন যে, কেন সেখানে মার্চেনকে টেনে আনা হলো? গ্রিনের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দেন ক্রকেট, ‘আপনি কি জানেন আমরা এখানে কেন বসেছি?’
এর জবাবে গ্রিন বলেন, ‘আমার ধারণা, আমরা এখানে কেন এসেছি তা আপনি জানেন না। মনে হচ্ছে, আপনি যা পরছেন তা ঢেকে যাচ্ছে আপনার নকল পাপড়িতে।’
সে সময়, হাউসের ওভারসাইট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিবিলিটি কমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট সদস্য মেরিল্যান্ডের রাসকিন হস্তক্ষেপ করে বলেন, ‘এটা আপনার জন্যও প্রযোজ্য, মিসেস গ্রিন।’
আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজ এ অবস্থায় বলেন, অন্য ব্যক্তির চেহারাকে আক্রমণ করা ঘৃণ্য এবং পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য। তিনি মার্জোরি টেলর গ্রিনকে ক্ষমা চাইতে এবং তার কথাগুলো প্রত্যাহার করতে বলেন।
ক্রকেট এরপর গ্রিনকে তাঁর (গ্রিন) চেহারা ও চুল নিয়ে পাল্টা আক্রমণ করেন। গ্রিনের মন্তব্যকে ‘বর্ণবাদী’ বলেও আখ্যা দেন তিনি।