সংসদের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একদলীয় প্রভাব রয়েছে: টিআইবি
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘সংসদের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একদলীয় প্রভাব রয়েছে। অধিকাংশ প্রার্থী এক দলের। এটাকে সুষ্ঠু গণতন্ত্র বলা যায় না।’
রোববার (১৯ মে) রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ২য় ধাপে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণে এ সংবাদ সম্মেলন করে সংস্থাটি।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘রাজনীতির সঙ্গে সম্পদ বৃদ্ধির সম্পর্ক দেখা যাচ্ছে। এ কারণেই সবাই ভোটে জিততে চায়।’
তিনি বলেন, ‘বড় দুই দলই মাঠ পর্যায়ে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারছে না। ব্যবসায়ীরা নির্বাচনকে বিনিয়োগ হিসেবে দেখছেন। জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের পদকে আয় ও সম্পদ বিকাশের মাধ্যম হিসেবে দেখছেন। যার ফলে জনস্বার্থের বিষয়ে প্রাধান্য থাকছে না।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৯ সালের তুলনায় এবার নির্বাচনে অংশ নেওয়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীদের আয় বেড়েছে ১৪০ শতাংশ, সম্পদ বেড়েছে ২৩১ শতাংশ। এছাড়া আগের তুলনায় ৩ গুণ হয়েছে কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা।
সংস্থাটি জানায়, কোথাও কোথাও সংসদ সদস্যদেরও সম্পদ বৃদ্ধিতে পেছনে ফেলেছেন চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যানরা। এবারে নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের মধ্যে ৭১ শতাংশ প্রার্থীই ব্যবসায়ী।
টিআইবি তাদের বিশ্লেষণে জনায়, পদে না থাকাদের তুলনায় থাকাদের আয় ও সম্পদ বেড়েছে অনেক বেশি। ২৫ শতাংশ প্রার্থীর ঋণ রয়েছে। অর্থাৎ প্রতি চারজন প্রার্থীর একজন ঋণগ্রস্ত। মোট প্রার্থীর মধ্যে ১৩ দশমিক ১৩ শতাংশ বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত।
টিআইবি আরও জানায়, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ৫ বছরে কোনো কোনো চেয়ারম্যান প্রার্থীর আয় বেড়েছে প্রায় ১১ হাজার শতাংশ। এক্ষেত্রে দেখা যায় অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে সাড়ে ১১ হাজার শতাংশ, স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের সম্পদ বৃদ্ধির হার ১২ হাজার চারশ শতাংশ পর্যন্ত।